দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থ আদায়ের সমস্যা সামাধান না হওয়া পর্যন্ত এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সচিবালয়ে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। কয়েক দফা প্রকাশের সময় দিয়েও রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেননি অর্থমন্ত্রী।

প্রতিবেদন প্রকাশের সময় হয়েছে কিনা- একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘হয় নাই। ফিলিপিন্সের সঙ্গে কিছু বিষয় রিজলভ (সমাধান) হলে করবো।’

‘নিজের দায় এড়িয়ে কেউ এই রিপোর্ট থেকে সুবিধা পাক-সেটা আমি চাই না। রিজাল ব্যাংক চুরির টাকা নিয়ে বাহাদুরি করছে। তারা এটা করতে পারে না। টাকার মালিককে টাকা ফেরত দিতেই হবে। তাদের এটিচিউড গ্রহণযোগ্য না। এটা রিজলভ (সমাধান) করি, তারপর প্রকাশ (প্রতিবেদন) করবো।’

গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুই কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কায় আর বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে। শ্রীলঙ্কা থেকে দুই কোটি ডলার ফেরত পাওয়া গেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

চুরি হওয়া অংশের ১ কোটি ৫২ লাখ ডলার ফিলিপাইন থেকে ফেরত পাওয়ায় বাকি রয়েছে আরও ৬ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনকে (আরসিবিসি) ২ কোটি ১০ লাখ ডলার জরিমানা করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চুরির এ ঘটনায় আরবিসির ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিল মামলা করেছে।

গত ২৯ নভেম্বর এক বিবৃতিতে আরসিবিসি জানিয়েছে, রিজার্ভের চুরি যাওয়া বাকি অর্থ তারা ফেরত দেবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অবহেলার কারণেই রিজার্ভের অর্থ চুরি হয়েছে বলেও জানিয়েছে ব্যাংকটি।

অর্থ উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ফিলিপাইন সফর করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থ আদায়ে ফিলিপাইন সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে বলে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এপি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৭)