দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পাটপণ্যে এন্টিডাম্পিং শুল্ক (অতিরিক্ত শুল্ক) আরোপ করা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে ভারতের উচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

সচিবালয়ে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের মতো একটি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যাদের সাথে, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছে, সাহায্য করেছে, অস্ত্র দিয়েছে, অর্থ দিয়েছে, আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। কিন্তু এন্টিডাম্পিং করা ভারতের উচিত হয়নি।’

‘ভারত আমাদের তামাক ও মদ ছাড়া সবকিছু শুল্কমুক্তভাবে দিয়েছে। সেখানেও ভারতে আমাদের রফতানি করতে কষ্ট হয়, কারণ তাদের কাউন্টার ভেইলিং ডিউটি আছে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। একদিক থেকে ডিউটি ফ্রি দিল আরেকদিক দিয়ে কাউন্টার ভ্যালুইং ডিউটি লাগিয়ে দিল। তাই প্রকৃতপক্ষে এটি ডিউটি ফ্রি নয়।’

তিনি বলেন, ‘যদিও এ মুহূর্তে ভারতে আমাদের রফতানি প্রবৃদ্ধি ২৯ শতাংশ। প্রতি বছরেই আমাদের রফতানি বাড়ছে। আমরা তো অনেক কিছুতে ভারতের উপর নির্ভরশীল। তাদের রফতানি ৬ বিলিয়ন ডলারের মতো আর আমাদের রফতানি এখন এক বিলিয়নে পৌঁছায়নি, ৬০০ মিলিয়নের কাছাকাছি।’

‘সেখানে আমাদের পাটপণ্য রফতানি হয়। সেটার উপর এন্টিডাম্পিং করা ঠিক হয়নি। আমরা অনেকবার টিম পাঠিয়েছি, আমরা আবার পাঠাব’ বলেন তোফায়েল আহমেদ।

ভারতের সঙ্গে রেশারেশিতে যেতে চান না জানিয়ে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল বলেন, ‘এখন প্রশ্ন এসেছে বাংলাদেশেও তো তারা অনেক পণ্য রফতানি করে আমরা যদি সেগুলোর উপর এন্টিডাম্পিং আরোপ করি তবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তো হলো না। আমরা এটা করতে চাই না। আবার প্রশ্ন উঠেছে আমরা ভারতে যে কাঁচাপাট রফতানি করি, সেটা বন্ধ করে দেন।’

এন্টিডাম্পিং বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি ভারতে যাচ্ছেন বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

ডিসিসিআই-এর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি আবুল কাসেম খান। সভায় ব্যবসায়ী সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এপি/জানুয়ারি ১৭, ২০১৭)