সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জারলিয়া জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের গোলাগুলি ও সংঘর্ষে তাজুল ইসলাম(৩৫), উজ্জল(২৫) ও সাহারুল (২৬) নামের তিন যুবক নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে।

নিহত তাজুল উপজেলার হাতিয়া গ্রামের সানাউল্লাহর ছেলে ও উজ্জল একই গ্রামের আমানউল্লাহ’র ছেলে এবং সাহারুল ইসহাক মিয়ার ছেলে।

গুলিবিদ্ধ আল আমিন ও সোনাফর মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার বেলা জারলিয়া নদী জলমহালে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দিরাই উপজেলার জারলিয়া জলমহালটি সরকার থেকে লিজ নেন একই উপজেলার দক্ষিণ নাগেরগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির পক্ষে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় দাস এবং তার পার্টনার মাসুক মিয়া। গতকাল সকালে উপজেলার হাতিয়া গ্রামের একরার হোসেন দলবল নিয়ে জলমহালে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালান। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাজুল ইসলাম, সোনাফর মিয়া, আল আমিন, উজ্জল ও সাহারুলসহ ৮ জন আহত হয়। গুলিবিদ্ধ তাজুল ইসলাম, সোনাফর মিয়া ও আল আমিনকে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাজুলকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সোনাফর মিয়া ও আল আমিনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

অপরদিকে ঘটনাস্থল থেকে উজ্জল ও সাহারুলকে সিলেট এমএজি ওসামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত্যু হয়।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তাজুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। উজ্জ্বল ও সাহারুল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। নিহত ৩ জনই একরারের পক্ষের।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/এনআই/জানুয়ারি ১৭, ২০১৭)