দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : হাইকোর্টে মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকার পরও আসামি গ্রেফতার করায় ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহাসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় তাদের আদালতে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

অন্য ৭ পুলিশ সদস্য হলেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আ. আলিম, কনস্টেবল শাহ আলম, মোতালেব, শাহাদত, মহির, করিম ও মান্নান। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. এমদাদুল হক আজাদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট মো. জাফর আলী।

পরে আইনজীবী জাফর আলী জানান, ২০১১ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল থানার মনেজা খাতুন তার প্রাক্তন স্বামী সালাউদ্দিনের খোরপোষ ও মোহরানা দাবি করে জেলার সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন। শুনানি নিয়ে আদালত ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর মনেজা খাতুন ও তার দুই নাবালক কন্যার অনুকূলে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা দিতে রায় দেন।

পারিবারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে সালাউদ্দিন ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জেলা আদালতে আপিল দায়ের করেন। জেলা আদালত আপিল খারিজ করে দিয়ে পারিবারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন। বিচারিক আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন আসামি সালাউদ্দিন। হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালতের আদেশসহ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।

হাইকোর্টে মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকার পরও গত ১১ নভেম্বর আসামি সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে সরাইল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সরাইল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।

সেই অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শেষে মঙ্গলবার সরাইল থানার ওসিসহ ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির পাশাপাশি তলবও করেন হাইকোর্ট।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এপি/এনআই/জানুয়ারি ১৭, ২০১৭)