দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : নাইজেরিয়া-ক্যামেরুন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিমান হামলার ঘটনায় একটি শরণার্থী শিবিরের অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬ জন রেডক্রসের কর্মীও রয়েছেন। এ ঘটনায় ১০০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি এমন জায়গায় ঘটেছে, যেখানে নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই চলছে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের। বোকো হারামের হামলার ভয়ে পালিয়ে দেশটির বোর্নো প্রদেশের উত্তরপূর্বের শহর র‍্যন-এ ওই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন বহু মানুষ। খবর বিবিসি বাংলার।

অন্যদিকে সরকারের কাছে তথ্য ছিল, ওই এলাকায় জঙ্গিরা জড়ো হচ্ছে। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবাহিনীকে আক্রমণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলার এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রেডক্রসের ৬ জন কর্মীও রয়েছেন।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লাকি ইরাবো বলেছেন বোর্নোর কোনো এক জায়গায় বোকো হারাম জঙ্গিরা জড়ো হচ্ছে বলে সকালে তার কাছে তথ্য আসে। দেশটির সেনাবাহিনী বলছে, ভুলবশত এ হামলায় বেসামরিক লোকের এতটা ক্ষতি এর আগে কখনো হয়নি।

তিনি বিমানবাহিনীকে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। তারা বিমান আক্রমণ চালায় কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ভুল জায়গায় বিমান হামলা চালানো হয়। হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা এমএসএফ বিপুল সংখ্যক হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা পার্শ্ববর্তী দেশে তাদের অন্যান্য দলকে প্রস্তুত রেখেছে সহায়তা বাড়ানোর জন্য।

অন্তত ছয়জন রেডক্রস কর্মী নিহতের খবর জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র আলেজান্ডার মাতিজেভিক।

তিনি বলেছেন, নিহত ছয়জন রেডক্রস সদস্য এবং আহত আরো ১৩ জন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক র‍্যন শহরে এই সকালেই এসেছিলেন অন্তত ২৫ হাজার উদ্বাস্তুর খাবারের সংস্থান করতে। এই খাবার অন্তত পাঁচ সপ্তাহের জন্যে তাদের প্রয়োজন মেটাত। এ মুহূর্তে অন্যান্য ত্রাণ সংস্থার সহায়তায় জরুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

দেশটির সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছে সেখানকার প্রশাসন বোর্নো প্রদেশে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

(দ্য রিপোর্ট/এম/জানুয়ারি ১৮, ২০১৬)