দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : কোরিয়া যুদ্ধে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলন হতে যাচ্ছে ২০ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি। যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া সোমবার শুরু হওয়ায় উত্তর কোরিয়া এই পুনর্মিলনী বাতিলের হুমকি দিয়েছিল।

সাক্ষাতের সুযোগ পাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার অধিবাসীরা প্রিয়জনদের জন্যে গুছিয়ে নিয়েছেন বিভিন্ন উপহারসামগ্রী। উত্তর কোরিয়ার একটি অবসরযাপন কেন্দ্রে কয়েক দশক ধরে দেখা না হওয়া আত্মীয়দের মিলন ঘটবে।

স্বজনদের সঙ্গে দেখা হওয়ার এটিই শেষ সুযোগ বলে মনে করছেন অনেকে। ৮৫ বছর বয়স্ক কিম সে-রিন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘বোনের সঙ্গে দেখা করতে আমি ৬৪ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। বোনের বয়স এখন ৮১। তার সঙ্গে দেখা করার এটাই শেষ সুযোগ।’

এই পুনর্মিলন অত্যন্ত আবেগের। দুই কোরিয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা খুব অল্প সময়ের জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান। প্রতিবার মাত্র ১০০ জনের কপালে এই সৌভাগ্য জোটে।

১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালের যুদ্ধের কারণে দুই কোরিয়ার অনেক পরিবারের সদস্যই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। প্রায় ৭২ হাজার দক্ষিণ কোরিয়ান পারিবারিক পুনর্মিলনের অপেক্ষায় আছেন, যাদের অর্ধেকেরই বয়স ৮০ বছরের ওপরে। ২০১০ সালে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত এলাকায় গোলাবর্ষণ করলে স্থগিত হয়ে যায় এই মিলনমেলা। দুই কোরিয়ার সম্পর্ক ‍উন্নয়নে উত্তর কোরিয়ার প্রস্তাব থেকেই তিন বছর পর আবার পুনর্মিলনের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। (সূত্র : বিবিসি)

(দ্য রিপোর্ট/আরজে/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪)