চট্টগ্রাম অফিস : আইনজীবীকে জামিন না দেওয়ায় আদালতে ভাঙচুরের ঘটনাকে ন্যক্কারজনক ঘটনা বলে অভিহিত করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম আদালতে যে ঘটনা ঘটেছে তা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। এ জন্য আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।’

প্রধান বিচারপতি বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে নতুন আদালত ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারকদের প্রশিক্ষণের জন্য আইনমন্ত্রীর প্রতি ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী গণতন্ত্র। আর গণতন্ত্রের উন্নয়নের জন্য বার বেঞ্চ এবং প্রশাসনের সমন্বয় থাকা দরকার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের কাজ অপরাধীদের রক্ষা করা নয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রয়োজনে বিচার বিভাগের নির্দেশনা এবং সরকারের পদক্ষেপ অনুযায়ী আইনজীবীদের কাজ করার আহবান জানান।

জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আনিসুল ইসলামসহ চট্টগ্রাম বারের আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) মানবপাচার মামলার আসামি দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন (৪০) ও তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তারকে (৩২) জামিন না দেওয়ায় চট্টগ্রাম আদালত ভবনে ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা। পরে আইনজীবী ও তার স্ত্রীকে জামিন দিতে বাধ্য হয় আদালত।

ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া তাদের জামিন নামঞ্জুর করলে বিক্ষোভে নামেন আইনজীবীরা। এসময় বিচারকের এজলাস এবং খাস কামরার জানালায় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এরপর সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শুনানির পর মহানগর হাকিম মাসুদ পারভেজ তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/জানুয়ারি ১৯, ২০১৭)