শঙ্খচূড় ইমাম- এর পাঁচটি কবিতা
শুভ সকাল
শুভ সকাল
বিছানা ছাড়ছো না কেন?
তোমার তুলশি গাছটি কেঁদে দিচ্ছে তো
বাসিমুখে পাতাদের সংসারে যাও
জল ঢালো জোট বেঁধে।
দ্যাখো—
পৃথিবীর সবকটি হাত
রস নিতে
আলোর পাখনা মেলেছে
চতুর্দিক!
এভাবে উঁকি দিও না
১.
একটা অন্ধ অস্ত্র— তুমি।
ব্যবহার হচ্ছো আর ঘুরছো
ভণিতার তালিকা তৈরি করে
গড়িয়ে পড়ছো—
মৃতদের নাভিপাড়ে।
২.
তুমি কি দ দেখেছো?
কেবল তিনটি সরল রেখা
লিখতে গিয়ে ঢালু-উচু-ঢালু
আপতত তুমি লকলকে ডগার
মতো উঁচু হয়ে উঁকি দিচ্ছো
এভাবে উঁকি দিও না।
দ্যাখো, কি সুন্দর দ
লেগে আছে তোমাতে।
ব্যাথা
কলপাড় ভেঙে হাতগুলো
বাথটাব ঘিরে সমাবেশ করছে
যেখানে মনোহর ব্রা আর
শ্যাম্পুর ফেনাই মুখ্য
কেবল কৃত্রিম বৃষ্টিই জানে—
এ বেদনার দৈর্ঘ্য কত—
সুখ
লোকটি লাল জামা পড়ে।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় দরজা বন্ধ করে রাখে।
স্নানের দিনেই জামাটি দৃশ্যমান হয়।
ভোরে—যেহেতু সে হেঁটে যায়
দূরবর্তী সমুদ্রের কোল ঘেষে
সেখানের মনোহর রঙের মতোই
রঙিন হতে হতে বাড়ি ফিরে হাসে।
লোকটির হাসি থেকে
অনেকগুলো লাল জামা
উড়ে যায় আকাশের দিকে—
উলঙ্গ
আমি উলঙ্গ হয়ে দেখেছি
মানুষ মূলত উলঙ্গ।
দেহের ভেতর থেকে
গজিয়েছে যে উজ্জ্বল কালো চুল
তার কোনো লজ্জা নেই
এবঙ এই যে একটি টাকি মাছ
মাঝে মাঝে সাঁতার খেলছে—
সবাই তা দেখছি, হাসছি না।
আমার ভেতরে যা দেখছি না
তা দেখতে দেখতে
মেলে ধরছি
প্রকৃত ইতিহাস