দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন ‘নিজেদের অবস্থা বুঝুন, যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচন দিন।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার সকালে ‘জাতীয়তাবাদী তৃণমূল’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘চোখ খুলে দেখুন, উপজেলা নির্বাচনে জনগণ কাদের ভোট দিয়েছেন। আমরা নই, আপনারাই জনবিছিন্ন হয়ে গেছেন।’

হান্নান শাহ বলেন, ‘এ নির্বাচনে বিএনপি জোটের প্রার্থীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছেন। সরকার যদি পেশিশক্তি না দেখাতো, তবে তাদের ১০/১২ জনের বেশি প্রার্থী জয়ী হতো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫ বছর ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। কারণ জনগণ আপনার সঙ্গে নেই।’

হান্নান শাহ বলেন, ‘প্রথম ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। আগামী নির্বাচনগুলোতেও একই অবস্থা হবে। বিএনপি যে মানুষের আস্থাভাজন তা এ উপজেলা নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে।’

স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আমাদের আগামীর আন্দোলনে সরকারের পতন হবে। আমরা তাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করব। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে সকলের ভোটের অধিকার আদায় করে ছাড়ব।’

তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ভোটার সংখ্যা কম ছিল। ভোটের আগের রাতে প্রতি ওয়ার্ড, ইউনিয়নে সরকার দলীয় ও প্রশাসনের লোকজন প্রভাব বিস্তার করায় এ অবস্থা হয়েছে।’

সরকার দলীয় লোক ও প্রশাসনের লোক সিল বানিয়ে ব্যালট ছিনতাই করেছেন বলেও উল্লেখ করেন হান্নান শাহ।

আন্দোলন সংগ্রামে তৃণমূল ভূমিকা রাখলেও কেন্দ্রের ব্যর্থতা স্বীকার করে হান্নান শাহ বলেন, ‘উপজেলা নিবার্চন প্রমাণ করে বিএনপির তৃণমূল কত শক্তিশালী। তবে কেন্দ্রের ব্যর্থতা ছিল অনেক বেশি। এ জন্যই চেয়ারপারসনের নির্দেশে ঢাকা মহানগরের কমিটি পূনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা আন্দোলনে মাঠে থাকবেন তাদেরকে নিয়েই কমিটি করা হবে।’

সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সরকার ভারতকে খুশি করতে বিনা টেন্ডারে গ্যাস ও তেলক্ষেত্র দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা পালন করছেন।’

সংগঠনের সভাপতি হানিফ বেপারির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামছুজ্জামান দুদু, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, যুবদলের সিনিযর সহ-সভাপতি আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/এফএস/একে/এমডি/আরকে/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪)