দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : কিডনি শরীর থেকে টক্সিন বা বর্জ্য বের করে দেয়। সেটাই যদি ঠিকঠাক কাজ না করে তাহলে মুশকিল। কয়েকটি শারীরিক অসুবিধা কিন্তু কিডনির গোলমালের জন্য হয়।

যেমন গায়ে ঘনঘন র‌্যাশ, সারাদিনে খুব প্রস্রাব হওয়া, গরমেও কম ঘাম হওয়া। ছাকনির মতো কাজ করে কিডনি। শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাতে গোলামাল হলেই এসব হতে পারে।

নিচের ৫ লক্ষণের দিকে খেয়াল রাখুন, দেখলেই বুঝবেন আপনার কিডনিতে সমস্যা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াটাই কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ।

মূত্রের সমস্যা

কিডনি বিকল হলে প্রস্রাব করতে সমস্যা হয়। প্রস্রাবের সময় চাপও বোধ হয়। যদি অনেকক্ষণ ছাড়া ছাড়া প্রস্রাব হয় বা প্রসাবের রং গাঢ় এবং যদি অস্বাভাবিক পরিমাণে প্রসাব হতে থাকে বা খুব ঘন ঘন ফ্যাকাশে রঙের প্রস্রাব হয়, ধরে নেওয়া যায় কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না। রাতে ঘুমের সময় বারবার প্রস্রাব করতে ওঠাও, কিডনির সমস্যার লক্ষণ।

ত্বকে ফুসকুড়ি বা র‌্যাশ

শরীরে যখন অতিমাত্রায় টক্সিন জমে, অথচ কিডনি কাজ করতে পারে না, ত্বকে তখন ফুসকুড়ি বেরোয়। অন্যান্য চর্মরোগও দেখা যায়।

ক্লান্তি চেপে বসবে

সুস্থ কিডনি থেকে ইপিও (এরিথ্রোপোয়েটিন) হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন অক্সিজেন বহন করতে আরবিসি বা লোহিত রক্তকণিকাকে সাহায্য করে। কিডনি ফেলিওরে এই হরমোন নিঃসরণ কমে যাওয়ায় আরবিসিতে তার প্রভাব পড়ে। অল্প পরিশ্রমই ক্লান্ত করে দেয়। মস্তিষ্ক ও পেশিকেও প্রভাবিত করে। রক্তাল্পতারও একই লক্ষণ।

শ্বাসকষ্ট

কিডনির সমস্যার একটা কমন লক্ষণ। আরবিসি কমে যাওয়ার কারণে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। এর ফলে শরীরে, বিশেষত ফুসফুসে টক্সিন জমতে থাকে।

মাথা ঘোরা ও মনোনিবেশ করতে সমস্যা

শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দুটি কারণে হতে পারে। অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা নয়তো কিডনি ফেলিওর। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের জোগান কমে যাওয়ার কারণেই একাগ্রতা কমে যায়। স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। মাঝেমধ্যে মাথাও ঘুরবে।

(দ্য রিপোর্ট/এফএস/জানুয়ারি ২২, ২০১৭)