দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাজা দেওয়ার অভিযোগে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেনকে ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে হাইকোর্ট।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সময় মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম জহিরুল হক জহির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান। ইউএনওর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সগীর আনোয়ার।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জহিরুল হক জহির জানান, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক রবিবার (২২ জানুয়ারি) হাইকোর্টে হাজির হয়ে ইউএনও আশরাফ হোসেন ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য চার সপ্তাহ সময় চাইলে আদালত এই সময় মঞ্জুর করেন। তবে ব্যাখ্যা দাখিলের পূর্ব পর্যন্ত ওই ইউএনও’র মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা স্থগিত করা হয়েছে।

জানা যায়, গত বছরের ২১ আগস্ট সকাল ১১টায় মো. সোহরাব হোসেন নামের এক ব্যক্তি খাদিজাতুল কোবরা মাদ্রাসার ছাত্রী সুমি আক্তারকে (১৪) শ্লীতাহানির উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সোহরাবকে আটক করে কচুয়া থানার এএসআই শাহাদাত হোসেন। আটকের পর তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেনের সামনে হাজির করা হয়।

এরপর পরিচালনা করা হয় মোবাইল কোর্ট। আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে দোষ স্বীকার করলে সোহরাবকে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৬(১) ধারা অনুসারে দুই বছরের সাজা প্রদান করা হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিল করেন সোহরাব। গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই আপিল খারিজ হয়।

ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন তিনি। সেখানেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর সোহরাব হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। ওই আবেদনে তিনি জামিন চান। গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট সোহরাবকে জামিন দেয়। পাশাপাশি কোন এখতিয়ারবলে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছিলো এ বিষয়ে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ইউএনওকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী তিনি আজ আদালতে উপস্থিত হন।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এপি/এনআই/জানুয়ারি ২২, ২০১৭)