দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল মাত্র ১০৯ রান। এ টার্গেটে পৌঁছাতে কোন ধরনের বেগই পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে একদিন বাকি থাকতেই ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট জিতে নিয়েছে তারা। এরফলে তিন ফরম্যাটের সব সিরিজেই হোয়াইটওয়াশের শিকার হলো বাংলাদেশ।

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিন টানা বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ার পরও বড় ধরনের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে হাথুরুসিংহের শিষ্যদের। এ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ১৭৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। এরফলে ১০৮ রানের লিড নিতে সক্ষম হয় তামিম বাহিনী। জিত রাভালের উইকেট হারিয়ে ১৮ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউইরা।

একবার জীবন পাওয়া টম ল্যাথাম অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে, টানা দুই ছক্কায় ম্যাচ শেষ করা কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। একমাত্র উইকেটটি নেন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি।

এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ১৭৩ রানে অলআউট হয়ে গেছে। প্রথম ইনিংস থেকে ৬৫ রানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে। ১১৫ রানে আট ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর বোলার তাসকিন আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বির ব্যাটে সাময়িক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ দু'জনের ৫১ রানের জুটিতে সম্মনজনক পুঁজি পায় টাইগাররা।

দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় ১৭ রানে তামিম ইকবালকে (৮) স্যাটনারের ক্যাচ বানিয়ে টাইগার শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন টিম সাউদি। এরপর সৌম্য সরকার আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি ভালো জুটির আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু ৪১ রানের এই জুটি ভাঙেন কলিন ডি গ্র্যান্ডমি। দলীয় ৫৮ রানে রাভালের তালুবন্দি করে তিনি তুলে নেন ৬ বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করা সৌম্যকে।

এরপর দলকে বিপদে রেখে দলীয় ৭৩ রানে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। সাউদির বলে গ্র্যান্ডমির হাতে ধরা পড়ার আগে তিনি করেন ৮ রান। আর দলীয় ৯২ রানে ওয়েংগারের বলে বোল্ড হন দারুণ খেলতে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি করেন ৩৮ রান।

দলকে বিপদে রেখে ওয়েংগারের বলেই উইকেটের পেছনে ব্যক্তিগত শূন্য রানে ক্যাচ দেন সাব্বির রহমান। ওই ওভারেই শূন্য রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নুুরুল হাসান সোহানও। এরপর দলীয় ১০৬ রানে বোল্টের বলে বোল্ড হন নাজমুল হোসাইন শান্ত ১২ রান করে। আর মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যক্তিগত ৪ রানে তার বলেই ল্যাথামের তালুবন্দি হন, দলীয় ১১৫ রানে।

সেখান থেকে তাসকিন আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি নবম উইকেটে ৫১ রানের জুটি গড়েন। টেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তাসকিন ৩০ বলে দুই ছক্কা এক চারে ৩৩ রান করেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে টিম সাউদির বলে রুবেল হোসেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। তবে ২৯ বলে তিন চার এক ছক্কায় ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন রাব্বি।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বোল্ট, সাউদি ও ওয়েংগার প্রত্যেকে ৩টি করে এবং কলিন ডি গ্র্যান্ডমি একটি উইকেট পান।

এর আগে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থামে ৩৫৪ রানে। চতুর্থ দিন সোমবার হেনরি নিকলসের বীরত্বপূর্ণ ৯৮ রানে ভর করে তারা এই রান সংগ্রহ করেন। এদিন তারা তিন উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান যোগ করে।

ক্রাইস্টচার্চে শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিন বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধের আগে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে ২৬০ রান করেছিল। তৃতীয় দিনের খেলা বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে ৫০ রানে সাকিব ৪টি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি দুটি করে উইকেট পান।

এর আগে বাংলাদেশ ২৮৯ রানে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে।

(দ্য রিপোর্ট/এনপিএস/এনআই/জানুয়ারি ২৩, ২০১৭)