এরশাদের রাডার ক্রয় দুর্নীতি মামলার পরবর্তী জেরা ২ মার্চ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিমানের রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুদকের দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে জেরা অব্যাহত রেখেছেন তার আইনজীবী।
বর্তমানে দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জুর আহমেদকে বৃহস্পতিবার জেরা শেষ করেন এরশাদের আইনজীবী শেখ মো. সিরাজুল ইসলাম। মঞ্জুর আহমেদকে জেরা অসমাপ্ত রেখে আসামি সুলতান মাহমুদের পক্ষে জেরা শুরু হয়।
১১ নম্বর সাক্ষী সুলতান মাহমুদের পক্ষে জেরা শেষ না হওয়ায় ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আব্দুল মজিদ আগামী ২ মার্চ পরবর্তী জেরার জন্য দিন ধার্য করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণের সময় মামলার আসামি এরশাদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার পক্ষে তার আইনজীবী সামছুদ্দিন বাবুল আদালতে হাজিরা দাখিল করেন।
মামলার অপর আসামি সুলতান মাহমুদ ও বিমানবাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার অপর আসামি একেএম মুসা শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।
১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়েরের পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তৎকালীন বিমানবাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দুইটি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এরপর সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি করেছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/জেএ/এমডি/আরকে/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪)