চট্টগ্রাম অফিস : কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা লায়ন আসলাম চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভায় নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করসহ অন্তত ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের একজন রামপুর ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. ইমন।

বিএনপি দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন চত্বরে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । সমাবেশ চলাকালে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীর মধ্যে মারামারির সূত্রপাত ঘটে। এ নিয়ে সভায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সমাবেশ চলাকালে নগর যুবদল নেতা মোশাররফ হোসেন দিপ্তীর নেতৃত্বে একটি মিছিল আসে। এ সময় দিপ্তী মঞ্চে গেলে পাহাড়তলী বিএনপির নেতা পিচ্চি হান্নানের নেতৃত্বে মিছিলের ছেলেরা ‘দিপ্তী ভাই, দিপ্তী ভাই’ স্লোগান দিয়ে মঞ্চের সামনে গেলে সেখানে বসা নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেন। এক পর্যায়ে আবুল হাশেম বক্কর স্লোগান বন্ধ করতে বললেও তারা স্লোগান দিতেই থাকে।

 

এ নিয়ে মঞ্চের সামনে বক্কর সমর্থকদের সাথে দীপ্তির সমর্থকদের হাতাহাতি- ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এ সময় এনায়েত বাজার ছাত্রদল নেতা সুমনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় পাহাড়তলীর কর্মীরা। এতে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।

এ অবস্থায় বক্করের ছেলেরা মোশাররফ দিপ্তীকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য চিৎকার করে তেড়ে গেলে বক্কর তাদের থামিয়ে দেন।

মারামারির এক পর্যায়ে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হলে একটি চেয়ার গিয়ে আবুল হাশেম বক্করের মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে রক্ত পড়তে শুরু করে। নেতাকর্মীরা তাকে ধরাধরি করে কাজীর দেউড়ি ফার্মেসিতে নিয়ে মাথায় ব্যান্ডেজ করায়।

তবে মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, ‘ নেতাকর্মীরা স্লোগান এবং মিছিল নিয়ে সামনে যেতে চাইলে বাধা পেয়ে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছে। এ সময় নেতারা তাদের থামিয়ে দেয়।’

মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দিপ্তী বলেন, ‘আমার ছেলেদের সাথে গণ্ডগোল হবে কেন। এটা উত্তর জেলার মিটিং ছিল। এ অভিযোগ ঠিক নয়। উত্তর জেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে সমস্যা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেছেন, ‘বিএনপির সমাবেশে নিজেদের মধ্যে চেয়ার ভাঙচুর হয়েছে শুনেছি। সমাবেশ উপলক্ষে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ ছিল গেটের বাইরে। ভিতরে কি হয়েছে তা পুলিশ জানে না।’

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/এনআই/জানুয়ারি ২৭, ২০১৭)