দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : নামাজ মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আমল। এটি ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর ফরজ। ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দেওয়া শিরকের পর সবচেয়ে বড় গোনাহ। যার শাস্তি দুনিয়া ও আখেরাত উভয় স্থানেই ভোগ করতে হবে।

বেনামাজিকে পৃথিবীতে কয়েক প্রকার শাস্তি ভোগ করতে হয়। যেমন-

* জীবনের বরকত কেড়ে নেওয়া হয়।

* চেহারা হতে নেককারদের জ্যোতি মুছে ফেলা হয়।

* তার কোনো দোয়া কবুল হয় না।

* বুজুর্গ ব্যক্তিদের দোয়া হতে সে কোনো ফল লাভ করে না।

* যে আমলই করুক না কেন তার কোনো প্রতিদান পায় না।

রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন- ‘যে কেউ ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দেয় আল্লাহ পাক তার উপর হতে জিম্মাদারি উঠিয়ে নেন’ (বুখারি-১৮, ইবনে মাজাহ-৪০৩৪, মুসনাদে আহমদ-২৭৩৬৪)। অর্থাৎ যে নামাজ ছেড়ে দিল সে যেন আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ছন্নি করল। আখিরাতে তাদের অনন্তকাল শাস্তি ভোগ করতে হবে।

কেউ অস্বীকারপূর্বক নামাজ ছেড়ে দিলে তার ঈমান না থাকার ব্যাপারে কারো কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু যে নামাজ অস্বীকার করে না অথচ যে কোনো কারণেই তা ছেড়ে দেয় এ শ্রেণির লোকের ব্যাপারে হুকুম নিম্নরূপ :

ইমাম আহমদের মতে, প্রকাশ্যে শিরক করা ব্যতীত কেউ ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দিলেও সে ইসলাম থেকে খারিজ হবে না (তবাকাতুল হাম্বল, খ. ১ পৃ. ৩৪৩)।

ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহহাব (রঃ) বলেন, ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দিলে কারো ঈমান থাকে না। কারণ মহান আল্লাহ বলেন, যদি তোমরা সীমালঙ্ঘন করার পর তওবা কর, নামাজ কায়েম কর এবং জাকাত দান কর তবেই তোমরা দ্বীনের মধ্যে শামিল বলে গণ্য হবে (সূরা তাওবা : ১১)।

ইমাম আবু হানিফা (রঃ) মতে, নামাজ তরককারী কাফের নয়, ফাসেক বলে গণ্য হবে। কারণ রাসূল(সাঃ) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করবে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (বুখারি-৫৪০১)।

(দ্য রিপোর্ট/একেএ/এনআই/জানুয়ারি ২৯, ২০১৭)