আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার : মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের অবস্থা জানতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী বস্তিগুলো পরিদর্শন করেছেন আনান কমিশনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।

উখিয়ার বালুখালীতে নতুন করে গড়ে উঠা রোহিঙ্গা শরণার্থী বস্তিতে রবিবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত হন।রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শন শেষে তারা টেকনাফের লেদা এবং শামলাপুরের রোহিঙ্গা শরণার্থী বস্তিগুলো পরিদর্শন করেছেন।

কফি আনান কমিশনের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- মিয়ানমারের নাগরিক উইনরা ও আই লুইন, লেবানিজের নাগরিক ঘাশান সালাম। রোহঙ্গিা শরণার্থী বস্তি পরিদর্শনকালে তাদের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বাকী বিল্লাহ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, ইউএনএইচসিআর ও আইওএম’এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সহ আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

আনান কমিশনের সদস্যরা সরেজমিনে রোহিঙ্গাদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। সোমবার সকালে উখিয়ার কুতুপালং এলাকার রোহিঙ্গা শরণার্থী বস্তি পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠক করবেন। একই দিন বিকেলে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় ফিরবেন তারা।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের কল্যাণে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ তৈরির জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সুচি গত বছর জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে প্রধান করে একটি পরামর্শ কমিটি গঠন করেন।

কফি আনান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মিয়ানমারের ছয় নাগরিক ও তিন বিদেশি বিশেষজ্ঞকে নিয়ে গঠিত কমিশন চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সুপারিশ জমা দেবে। রাখাইন রাজ্যের সব নাগরিকের উন্নয়ন, নাগরিকত্ব, মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপাদানগুলোকে নিয়ে কমিশন সুপারিশ তৈরি করবে। এ লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে এ কমিশন।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ৯ অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর অন্তত ৬৬ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএ/জেডটি/জানিুয়ারি ২৯, ২০১৭)