‘বিএনপি রাজনৈতিক পরাজয় মেনে নিয়েছে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএনপি প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক পরাজয় মেনে নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়। এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণীত হয়েছে শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব।
রাজধানীর শাজাহানপুরে মাহবুব আলী মিলনায়তনে মতিঝিল, শাজাহানপুর, পল্টন থানা ও ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ এবং ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে আসল না। খালেদা জিয়া বললেন, এক দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে বললেন, আমরা সর্ব দলীয় সরকার করব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় দেওয়া হবে। তবু তারা নির্বাচনে আসল না। সহিংসতার পথ বেছে নিল। আবার নাকে খত দিয়ে উপজেলা নির্বাচনে আসল।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টা বলেন, আমরা যদি মনে করি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিএনপি গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে এসেছে, তাহলে ভুল করব। আগামীতে তারা আবারও ষড়যন্ত্র করতে পারে, সহিংস হয়ে উঠতে পারে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অতীতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছি। আগামীতে তাদের যে কোনে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে সহসা কিছু বলে না। তবে আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত আসলে প্রতিঘাত কীভাবে করতে হয় তা আওয়ামী লীগ জানে। তার দীক্ষা আওয়ামী লীগ অতীত থেকে নিয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ। আন্দোলন সংগ্রামে তারা সব সময় ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় আন্দোলনের নামে বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল মৌলবাদী, ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র পরিণত করা এমন দাবি করেন সরকারের এই মন্ত্রী।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ইসলাম কীভাবে রক্ষা করতে হয় আওয়ামী লীগ জানে। ইসলামের নামে যা করার চেষ্টা করা হয়েছে পুরোটাই ভণ্ডামী।
মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, থানা এবং ওয়ার্ড নেতারা।
এর আগে জাতীয় সংগীত ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে দুপুর পৌনে ৪টার দিকে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ। সম্মেলনের উদ্বোধনের পর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে কাউন্সিলরদের সম্মতিক্রমে ৩টি থানা ও ৬টি ওয়ার্ডের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনকে আহ্বায়ক করে সম্মেলনের জন্য প্যানেল জমা নেওয়ার আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। আহ্বায়ক কমিটি প্যানেল জমা নিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে।
(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এসবি/আরকে/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪)