‘শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়ে শিক্ষাব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে’
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : পার্বত্য চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়ে শিক্ষাব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্যাঞ্চলের নানা বিষয়ে সমস্যা থাকার কারণে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। কিন্তু চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ার ফলে শিক্ষাব্যবস্থাসহ পাহাড়ের নানা সমস্যা সমাধান হতে পারছে না। যদি পাহাড়ে সুশিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হয় তাহলে অবশ্যই পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি সদরের বালুখালী ইউনিয়নের কাইন্দারমুখে আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগী সম্মাননা অনুষ্ঠানে সন্তু লারমা এ কথা বলেন।
রাঙ্গামাটির বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিজয় গিরি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মাননায় বক্তব্য দেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রুমানা রহমান শম্পা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা, সদর উপজেলার শিক্ষক সমিতির সভাপতি সবিনয় দেওয়ান, বালুখালী ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মনিক্য চাকমা, বসন্ত মনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যপ্রিয় চাকমা, সাংবাদিক হরি কিশোর চাকমা প্রমুখ।
সন্তু লারমা বলেন, পাহাড়ে এখনও অদৃশ্য শাসনব্যবস্থা চালু রয়েছে। যার কারণে পাহাড়ের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছে। পার্বত্য চুক্তি বান্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো সমস্যর সমাধান হবে না।
তিনি আরও বলেন, ১৯১৫ সালে ছাত্রদের নিয়ে যে যুব সমিতি গঠিত হয়েছিল তা পার্বত্যাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোর ঘরে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। তা ছাড়া এমএন লারমার শিক্ষা আন্দোলন এখন প্রতিফলন হয়েছে। দীর্ঘ ২ বছর পর হলেও পার্বত্যাঞ্চলে সুশিক্ষাব্যবস্থা চালু হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলের ১৪টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীও এখন শিক্ষিত হতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাই পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের মিলিত প্রয়াসে পাহাড়ে শিক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানান সন্তু লারমা।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এসবি/আরকে/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪)