চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের লালখান বাজারে জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে সোমবারের বিস্ফোরণের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটিতে মুফতি ইজহারুল ও তার ছেলে হারুন ইজাহারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী মাদ্রাসাটি পরিচালনা করতেন।

বিস্ফোরণের ঘটনায় সোমবার মধ্যরাতে আহত হাবিবুর রহমান (২০) নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তিনি দারুল ইফতা (ফতোয়া) বিভাগে পড়তেন।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, এসআই গোলাম নেওয়াজ বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় মামলা দুটি করেন। বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় ইজহারুলকে এক নম্বর আসামি ও তার ছেলে হারুনকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় মুফতি ইজহারুল ও তার ছেলে হারুন ইজহারকে আসামি করা হয়েছে। তারা দুজনেই পলাতক।

ওসি আরো জানান, মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিতঅবস্থায় একটি হাতবোমা পাওয়া গেছে। আলামত সংগ্রহের জন্য ডিবির বোমা বিশেষজ্ঞ দল সেখানে কাজ করে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান মৃণালকান্তি দাস জানান, চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার রাত ২টার দিকে হাবিবুর মারা যান। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আহত আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার নাম তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে চারতলা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই কক্ষের জানালা উড়ে যায়। পুলিশ সন্ধ্যার পর তল্লাশি চালিয়ে ওই কক্ষ থেকে হাতে তৈরি তিনটি তাজা বোমা এবং লোহার পাইপ, মার্বেলসহ বোমা তৈরির বিভিন্ন উপাদান উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত চারজনসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/এএস/জেএম/অক্টোবর ০৮, ২০১৩)