দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : অন্ধ্র প্রদেশকে ভেঙ্গে নতুন তেলেঙ্গানা রাজ্য সৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে এক ঐতিহাসিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ফলে শুক্রবার ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনেই বিলটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভির।

এদিকে বিজেপি বিলটিতে যে সব সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছিল তাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তারমানে, রাজ্য সভায় পাস করার পর বিলটিকে পুনরায় আর লোকসভায়ও উত্থাপন করতে হবে না। রাজ্য সভার অনুমোদন পেলেই তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে।

তবে বিজেপির দাবি, তেলেঙ্গানাকে আলাদা করার ফলে রাজধানী হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে সীমান্ধ্র অঞ্চলের যে ক্ষতি হবে তা যেন পুষিয়ে দেওয়া হয়। আশা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রাজ্যসভায় তেলেঙ্গানা বিলের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার সময় সীমান্ধ্র অঞ্চলের জন্য একটি অর্থ সহায়তা প্যাকেজও ঘোষণা করবেন। এ ছাড়া পোলাভারান কৃষি প্রকল্প থেকেও দুটি অঞ্চলই যেন সমভাবে উপকৃত হয় তার বন্দোবস্তও করবেন।

এদিকে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ও ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ এলায়েন্স (ইউপিএ) চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে সীমান্ধ্র অঞ্চলকে একটি বিশেষ ক্যাটাগরির মর্যাদা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করবেন বলেও জানা গেছে।

তবে সীমান্ধ্র অঞ্চলের সংসদ সদস্যরা এখনও অন্ধ্র প্রদেশকে ভাঙ্গার বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন-বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানা বিলটি রাজ্যসভায় উত্থাপনের পরপরই তারা হট্টগোল শুরু করে। ফলে কয়েকবার রাজ্যসভার অধিবেশন সাময়িকভাবে মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

তবে সীমান্ধ্রর জন্য এখনই আলাদা রাজধানী করা হচ্ছে না। আগামী দশ বছর হায়দ্রাবাদই দুটি প্রদেশের যৌথ রাজধানী হিসেবে কাজ করবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/এমসি/এএল/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪)