সাঁথিয়ায় হামলাকারীদের বিচার দাবি কল্যাণ ফ্রন্টের
দিরিপোর্ট২৪প্রতিবেদক : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটে জড়িতদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ফ্রন্টের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে বুধবার এই দাবি জানোনো হয়। ফ্রন্টের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী লিখিত বক্তব্যে এ হামলার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে নিন্দা, প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি উত্থাপন করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম, নিষ্ঠুর নির্যাতন চলে আসছে। এ নির্যাতনের মাধ্যমে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে শিথিল করার অপচেষ্টা ও বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও পটিয়ায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিহার, তাদের ধর্মীয় পুস্তক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ মূর্তি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে অথচ প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার ও বিচার হয়নি।
ফ্রন্টের আহ্বায়ক অভিযোগ করেন সেই যন্ত্রণা শুকাতে না শুকাতে সারাদেশে হিন্দু মন্দির, বাড়ি-ঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হলো। আজ পর্যন্ত এর কোনো প্রতিকার হলো না। দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়নি। নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। বিচারও হয়নি।
গৌতম আরো বলেন, সেই যন্ত্রণার আগুন নিভতে না নিভতেই পাবনার সাঁথিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বললো, ভাঙচুর ও লুটপাটের মতো জঘন্যতম ঘটনা ঘটল। অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি করছি।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, সদস্য অমলেন্দু দাস অপু, তরুণ দে, দেবাশিষ রায় মধু, নিতাই ঘোষ, নকুল সাহা, সুশীল বড়ুয়া, রমেশ দত্ত, হিমাদ্রি শেখর মণ্ডল প্রমুখ।
(দিরিপোর্ট২৪/টিএস/ডব্লিউএস/এমডি/নভেম্বর ০৬, ২০১৩)