নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শিবু মার্কেট কুতুবাইল এলাকার স্কুলছাত্র মোস্তফা (৯) খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা সবাই কিশোর। তাদের সবার বয়সে ১৪ বছর।

গ্রেফতারকৃতরা হলো সস্তাপুর সেলিম মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া গোলাপ খানের ছেলে আরিফ, এলু মুন্সির বাড়ির ভাড়াটিয়া আলী হোসেনের ছেলে মনির, পরান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া শহীদের ছেলে শাকিল।

এদের মধ্যে আরিফকে বুধবার ফতুল্লা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার চাঁদপুর থেকে শাকিল ও সস্তাপুর থেকে মনিরকে গ্রেফতার করা হয়।

নিহত মোস্তফা কুতুবাইল এলাকার ভ্যানচালক মো. সেলিমের ছেলে ও কুতুবাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। মামলার অপর আসামি শরীফকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান (সাধারণ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শহীদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) ধীরেন মহাপাত্র, ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আকতার হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমুখ।

গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা পরিকল্পিতভাবে স্কুলছাত্র মোস্তফাকে হত্যা করে। ঘটনার দিন মোস্তফা তার মায়ের মোবাইল ফোন নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। আসামিরা মোস্তফার কাছ থেকে মোবাইল নেওয়ার জন্য তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ সময় মোস্তফা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আসামিরা তাকে ধরে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তারা মোস্তফার মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা টিপে ধরে। মোস্তফার মৃত্যু নিশ্চিত হলে তাকে কুতুবাইল পিঠালীপুল এলাকার কবরস্থানের দক্ষিন পাশে সামসু মিয়ার নির্মাণাধীন পরিত্যক্ত বাড়ির সিঁড়ির নিচে রিজার্ভ ট্যাঙ্কির ভেতরে মোস্তফার লাশ ফেলে দেয়।

পরে মোস্তফার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি আসামি আরিফের বড় ভাই সেলিম বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানা পুলিশ প্রযুক্তিগত কৌশল অবলম্বন করে আরিফকে গ্রেফতার করে। পরে মোস্তফার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোনটি শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত বাসমতি হোটেলের কর্মচারী আল আমিনের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

আসামি আরিফের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে বাকি আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামি শরীফকে গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/এএস/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪)