বিরল পারিবারিক পুনর্মিলনে দুই কোরিয়ার শত শত পরিবার
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিরল এক পুনর্মিলন উৎসবে মেতেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার শত শত পরিবার। কোরীয় যুদ্ধে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ওই পরিবারগুলোর সদস্যরা কয়েক দশক পর পরস্পরের দেখা পেলেন।
বৃহস্পতিবার উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় শতাধিক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দুই দেশের সীমান্তে জড়ো হন। এরপর সেখান থেকে প্রায় ৮২ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা তাদের পরিবারের ৫৮ জন সদস্যসহ বাসযোগে উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হন। উত্তর কোরিয়ার একটি অবসরযাপন কেন্দ্রে কয়েক দশক ধরে দেখা না হওয়া আত্মীয়দের মিলন ঘটবে। ২০ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি এ পুনর্মিলন উৎসব চলবে।
এর আগে সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হওয়ায় উত্তর কোরিয়া এই পুনর্মিলনী বাতিলের হুমকি দিয়েছিল।
এই পুনর্মিলন অত্যন্ত আবেগের। দুই কোরিয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা খুব অল্প সময়ের জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান। প্রতিবার মাত্র ১০০ জনের কপালে এই সৌভাগ্য জোটে।
১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালের যুদ্ধের কারণে দুই কোরিয়ার অনেক পরিবারের সদস্যই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। প্রায় ৭২ হাজার দক্ষিণ কোরিয়ান এই পারিবারিক পুনর্মিলনের অপেক্ষায় আছেন, যাদের অর্ধেকেরই বয়স ৮০ বছরের ওপরে। ২০১০ সালে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত এলাকায় গোলাবর্ষণ করলে স্থগিত হয়ে যায় এই মিলনমেলা। দুই কোরিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নে উত্তর কোরিয়ার প্রস্তাব থেকেই তিন বছর পর আবার পুনর্মিলনের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সূত্র : বিবিসি।
(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/জেএম/এএল/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪)