যশোর অফিস : পিকনিকের বাস দুর্ঘটনা মামলার আসামি ড্রাইভার ও হেলপার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে যশোরের পুলিশ সুপারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ড্রাইভার ইসরাফিল ও হেলপার মহররম। বৃহস্পতিবার আদালত এই দু’জনের সঙ্গে মামলার আরেক আসামি জাহাঙ্গীর আলমকেও জামিনে মুক্তি দেন।

১৫ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহনকারী বাসটি চৌগাছার ঝাউতলায় পুকুরে পড়ে গেলে সাত শিশু নিহত ও অর্ধশত আহত হন।

আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ড্রাইভার ইসরাফিল ও হেলপার মহররমকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রণবকুমার হুইয়ের আদালতে হাজির করা হয়। একই আদালতে হাজির করা হয় জাহাঙ্গীর আলম নামে মামলাটির আরেক আসামিকে। চৌগাছা থানা পুলিশ মান্দারতলা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে বুধবার গভীর রাতে জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে বলে জানান মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মুন্সি আবু কুদ্দুস। জাহাঙ্গীর রাস্তার ওপর ডাঁটা (শাকজাতীয় সবজিবিশেষ) শুকাতে দেওয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে পুলিশের ধারণা। বিচারক আদালতে হাজির তিন আসামিকেই জামিনে মুক্তি দেন।

চৌগাছা থানায় দায়ের হওয়া মামলাটির চার আসামির মধ্যে আরেকজন জাহাঙ্গীরের ভাই শহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/একে/এপি/এএল/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৪)