দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : হায়দ্রাবাদে বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ৬ উইকেট হারিয়ে ৬৮৭ রান তুলে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছে স্বাগতিক ভারত। জবাবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সৌম্য সরকারকে হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে বাংলাদেশের ঝুলিতে জমা হয়েছে ১ উইকেটে ৪১ রান। এই অবস্থায় বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহম্মদ আজহারউদ্দিন বলেছেন, হায়দ্রাবাদে বাংলাদেশ যতই কোণঠাসা অবস্থায় থাকুক না কেন, নিজেদের ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারলে, এখনও এই টেস্টে লড়াই দেওয়ার ক্ষমতা রাখে তারা।

রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাতকার তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যদি নিজেদের ঠিকমতো প্রয়োগ করতে না পারে তাহলে এই ম্যাচ হয়তো বড়জোর চারদিন গড়াবে। বাংলাদেশকে নিজেদের তাই প্রয়োগ করতেই হবে। আর আমার ধারণা তাদের সেই ক্ষমতাও আছে। আর এই দুদিন তারা কিন্তু খুব একটা খারাপ খেলেওনি, যদিও স্কোরবোর্ড সে কথা বলছে না।’

এ কথা বলার পিছনে কারণ দেখাতে গিয়ে হায়দ্রাবাদ ক্রিকেটের এই আইকন বেশ কয়েকজন দারুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার কথা উল্লেখ করেছেন। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বেছে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সাব্বির রহমান আর মেহদি হাসান মিরাজকে। সঙ্গে বাদ দেননি তামিম, সাকিব আর মুশফিককেও। আজহারউদ্দিন বলেছেন, ‘তামিম ইকবাল খুব ভাল ক্রিকেটার, সাকিব আর মুশফিক তো ভীষণই অভিজ্ঞ।’

তবে, প্রতিভার ছড়াছড়ি থাকলেও লম্বা ফরমেটে বাংলাদেশ বেশি ম্যাচ খেলতে না পারার সুবাদেই এই টেস্টে ভুগছেন বলে তার ধারণা। এ প্রসঙ্গে সর্বকালের সেরা স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান আজহারউদ্দিন বলেছেন, ‘ভাল টেস্ট প্লেয়িং দেশ হয়ে উঠতে গেলে আপনাকে অনেক বেশি ম্যাচ খেলতে হবে। দুদিন বা তিনদিনের ম্যাচ, এমন কী চারদিনের ম্যাচও। বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে যদি ওরা আরও বেশি করে টেস্ট ম্যাচ খেলতে থাকে, তাহলে ফারাক হতে বাধ্য।’

এদিকে সম্প্রতি ক্রিকেটের সব দেশে খেলে আসলেও, বাংলাদেশ এতদিন কেন ভারতে খেলতে পারেনি, তা নিয়ে বেশ অবাকই হয়েছেন আজহার। তবে, শেষ পর্যন্ত ঐতিহাসিক এই টেস্টে নিজভূমি হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দারুণ খুশি সাবেক এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমি তো বুঝতেই পারছি না কেন ভারতে খেলতে আসতে তাদের ১৭ বছর লেগে গেল। তবে শেষ পর্যন্ত আমি খুব খুশি যে ভারতে তাদের প্রথম টেস্টটা হায়দ্রাবাদেই হচ্ছে। এটা আয়োজন করতে পারাটা খুব গর্বের ব্যাপার।’

(দ্য রিপোর্ট/এজে/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭)