আলমগীর নিষাদের প্রথম কবিতার বই ‘জোছনার ওহি’। বইটি প্রকাশিত হয় কলকাতা থেকে। তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে বেশ ক’টি বই। উল্লেখযোগ্য হল- নদীর কূলে শইষ্যার ফুল (কবিতা সঙ্কলন), সাহসী মানুষ (প্রবন্ধ) ও প্রামাণ্য নাঈমুল ইসলাম খান (প্রবন্ধ)। তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ করছেন। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে কথা বলেছেন ওয়াহিদ সুজন

এবারের মেলায় কোনো বই আসছে

একটা কবিতার বই এসেছে। নাম ‘জোছনার ওহি ও অন্যান্য কবিতা’। বের করেছে বাংলালিপি। প্রচ্ছদ করেছেন সব্যসাচী হাজরা। বইটার একটা অনবদ্য ভূমিকা লিখে দিয়েছেন ফরহাদ মজহার।

বইটি নিয়ে কিছু বলুন...

এই বইটা আমার বিগত জীবনের শেষকৃত্য। যে জীবনে আমি আর নাই, সেই ‘অপর’ কবিজীবন ছেড়ে দেশান্তরী হওয়ার জন্য দুই মলাটের মধ্যে লেখাগুলির সদগতি করলাম।

আপনার প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম তো ‘জোছনার ওহি’একই নামে আবার

আমার প্রথম কবিতার বই 'জোছনার ওহি' নামটা এই বইয়ের শিরোনামে যুক্ত হওয়ায় একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ওই বইয়ের নাম এবং কিছু কবিতাও এখানে যুক্ত হওয়ার কারণটা অন্য, বইয়ে আমার ভূমিকায় তা বলার চেষ্টা করেছি। নতুন কবিতা পুরাতন কবিতা- এই বিচার আমার নাই। আমি ভাবনার চেষ্টা করেছি, মানুষ তার জীবদ্দশায় হয়তো কয়েকটা জীবন কাটায়, আর এক-একটা জীবন সে এক-একটা মানের মধ্যে থাকে। তখন একটা কিছুই লেখে। আরেক জীবনে আরেকটা কিছু। আমি বেশ বুঝতে পারি, আমার একজীবনের দশা এখনো কাটে নাই। তো বইয়ের আর নতুন নাম দিয়া লাভ কী! তবে এটুকু বলতে পারি, গ্রামারের ভাষায় যাকে নতুন বই বলে, ‘জোছনার ওহি ও অন্যান্য কবিতা’ তাই।

বই প্রকাশনার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলুন

আমার বই প্রকাশ করে নাই তাই প্রকাশকদের দোষ দেওয়ার দলে আমি না। জিনিশ থাকলে প্রকাশক পাওয়া যায়।

বইমেলা থেকে কী কী বই কিনবেন

দুর্ভাগ্য কিনা জানি না, এবারের মেলায় আমার যাওয়া হচ্ছে না। (নিষাদ কিছুদিন আগে মোটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্টে আহত হয়েছেন) সুস্থ হয়ে নিশ্চয় প্রয়োজনের বইগুলো সংগ্রহ করব।

বইকে কীভাবে প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া যায় বলে মনে করেন

এটা রাষ্ট্র বিপ্লবের বিষয়। প্রান্তিক পর্যায়ে আলো ছড়িয়ে দেওয়ার এই ভাষাটা স্টাবলিশমেন্টের। এই ‘রেডক্রস’ পদ্ধতিতে আমি ভাবি না।

বইমেলার স্থান সম্প্রসারণকে কীভাবে দেখছেন

বইমেলার স্থান সম্প্রসারণ নিয়ে আমি কিছু ভাবছি না। বাংলা একাডেমি নিয়ে আমার কোনো সংরক্ষিত আবেগ নাই। যদি প্রকাশকদের ব্যবসা হয়, ভালো। আনন্দ বাবুর তো বেডরুমে ঢোকার পারমিশন আছে, উদ্যানের ফাঁকে নিয়া মারা না-মারা... এসব নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন না।

পরবর্তী জীবনে কি লিখতে চান

আগে একজীবনের দশা কাটাই।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৪)