দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের পুনর্বাসনের জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে উচ্ছেদকৃত সাঁওতালদের পুনর্বাসনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।

ভূমি সচিব, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট থানার ওসিসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদেশের বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী সুপ্রকাশ দত্ত দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘গোবিন্দগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনার পর ইচ্ছাকৃতভাবে আলামত নষ্টের অভিযোগে রংপুর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ৮ জানুয়ারি রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই রুলের ওপর শুনানিকালে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন।’

গত ৮ জানুয়ারি আলামত নষ্টের বিষয়ে চিনিকল কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আইনজীবী সুপ্রকাশ দত্ত বলেন, ‘আলামত নষ্টের বিষয়ে দাখিলকৃত প্রতিবেদনের উপর পরবর্তীতে শুনানি হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীর চিনিকল কর্তৃপক্ষের জমি দখলে নিতে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় গোলাগুলিতে তিন সাঁওতাল নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হন। এই হামলার ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে করা তিনটি পৃথক রিট বর্তমানে হাইকোর্টে চলমান রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এমকে/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭)