দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলছি, বিশ্ব ব্যাংক আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কারও সম্মানহানি করে, তাহলে ওই ব্যক্তি নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিতে পারেন। ইতোমধ্যে হাইকোর্ট বিভাগ একটি রুল জারি করেছেন। যখন এটা আদালতে গড়িয়েছে তখন বক্তব্য আদালতের মাধ্যমে আসাই ভাল।’

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা বিচারক এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন বিশ্ব ব্যাংকের সদস্য হয়, তখন বিশ্ব ব্যাংকের সাথে একটি এগ্রিমেন্ট হয়। ঋণ বাতিল করলে বিশ্ব ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে কোনো বিধান সেই চুক্তিতে আছে বলে আমার মনে হয় না।’

বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর আস্থা ফেরাতে পদ্মা সেতু ইস্যুতে বিশ্ব ব্যাংককে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, আমরা বিশ্ব ব্যাংকের কাছে এই ব্যবহারের জন্য প্রতিকার চাই। প্রতিকার ক্ষতিপূরণ দিয়েও হতে পারে, প্রতিকার যে সব কর্মকর্তা আমাদের বিরুদ্ধে এই অবিচার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।’

বিশ্ব ব্যাংকে ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে, যাদেরকে দোষারোপ করেছে, তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে’ সংসদে দেওয়া বক্তব্যে অটল থাকার কথাও জানান মন্ত্রী।

প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিচারকদের উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, ‘বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ করতে আমরা সরকার গঠন করিনি। আমরা চাই মানুষ ন্যায়বিচার পাক, বিচার বিভাগ স্বাধীন না হলে সেটা সম্ভব না। গত ৪৬ বছরে অনেকক্ষেত্রে আমরা সেই ন্যায়বিচার পাইনি। এখন বিচার বিভাগের যে কাজ, সেটা আপনারা করবেন।’

৪২ জন প্রশিক্ষণার্থীর অংশগ্রহণে এই কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক এবং বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদও উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এস/এপি/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭)