বরিশাল অফিস : অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাঁধা দেওয়ায় বরিশালে পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৩ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ। এতে পুলিশ সদস্য, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা এবং এলাকাবাসীসহ মোট ২৩জন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর কাউনিয়া বটতলা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলার সাথে সম্পৃক্ততায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- দেলোয়ার, অহিদুল, শাহ্ আলম, আব্দুল খালেক ও শহিদুল ইসলাম।

নগর পুলিশের মুখপাত্র ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. ফরহাদ সরদার জানান, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নগরীর কাউনিয়া বটতলা এলাকায় অভিযান শুরু করে সকালে। এতে স্থানীয়রা বাঁধা দিলে সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) কর্মীরা তাদের অভিযান অব্যাহত রাখে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের মারধর করে। এ সময় পুলিশ স্থানীয়দের ঠেকাতে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় স্থানীয়রা। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্য ও গুলি ছোঁড়ে। এতে পুলিশ সদস্য রেজাউল, আসাদ, সুমন এবং আর্মড পুলিশের এক সদস্যসহ মোট ৮ জন আহত হয়। এ সময় পুলিশ ১৪৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোঁড়ে।

বিসিসি কর্মীরা জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে সিটি কর্পোরেশনের নিরাপত্তা সুপার নিকর চন্দ্র দাস, আর আই সাজ্জাদ, সোহেল খান, ইমরান হোসেন, মেহেদী খান, আনোয়ার, সালাউদ্দিন, মোস্তাফিজ ও বুল ডোজার চালক মহিউদ্দিন আহম্মেদকে স্থানীয়রা মারধর করে। এদিকে পায়ে রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে মাইনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

ইয়াছির আরাফাত নামে এক এলাকাবাসী জানায়, আমাদের জমিতে আমরা রয়েছি। আমাদের অবৈধভাবে উচ্ছেদের জন্য এসেছে সিটি কর্পোরেশন এ কারণেই জমির মালিকরা বাঁধা দিলে তাদের মারধর করা হয়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. হাবিবুর রহমান জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এসে সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তারা এবং পুলিশ হামলার শিকার হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। এছাড়া বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে হামলার সাথে যুক্ত এমন ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ মাহামুদ জুয়েল বলেন, এ ঝামেলার ফলে আমাদের কিছু সদস্যরা আহত হয়েছে। তবে পরবর্তীতে সিদ্ধান্তের পর অভিযান চালানো হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭)