বরিশাল অফিস :  বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে তেলবাহি ট্যাংকার এমটি এ্যাংকরএজের ইঞ্জিনরুমে অগ্নিকাণ্ডে ৪ নাবিক অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন- ট্যাংকারটির গ্রিজার হুমায়ুন কবির (৫০), সেকেন্ড ড্রাইভার মো. নাজমুল (৪০), চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. শহীদুল (৫০) ও লস্কর আবু সুফিয়ান (২৪)। তাদেরকে  শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের  রেজিস্ট্রার ডা. মো. শাহীন।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় চাঁদমারী খেয়াঘাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চাঁদমারী এলাকার ট্রলার মাঝি মো. নাসিরউদ্দিন বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি তেলবাহি ট্যাংকারটি চট্টগ্রাম থেকে সাড়ে ৯লাখ মিটার পেট্রোল ও ডিজেল নিয়ে বরিশালে যমুনা ডিপোর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। শনিবার ট্যাংকারটি কীর্তনখোলা নদীর চাঁদমারী এলাকায় নদীর মধ্যে নোঙ্গর করে। ঘটনার সময় যমুনা ওয়েল কোম্পানীর ডিপোতে যাওয়ার জন্য চালু করলে ইঞ্জিনরুমে বিকট শব্দ হয়ে আগুন ধরে যায়। এ সময় ট্যাংকারে থাকা ১১ নাবিকের মধ্যে ৪ জন অগ্নিদগ্ধ হন। ফারার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় আহত ৪ জনকে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠায়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. শাহিন জানিয়েছেন, বার্ন ইউনিটে ভর্তি হওয়া তিন রোগীর শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যজন শঙ্কামুক্ত।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নগর পুলিশের মুখপাত্র ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. ফরহাদ সরদার জানিয়েছেন, দমকল বাহিনীর সাথে কথা বলে তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন ইঞ্জিন চালু করার সময় ক্রটি থেকেই এই দুর্ঘনার সৃষ্টি। দুর্ঘটনা প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে চেষ্টা করছেন তারা।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭)