চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৩ কর্মচারী স্ট্যান্ডরিলিজ
চট্টগ্রাম অফিস : দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার তিন কর্মচারীকে স্ট্যান্ড রিলিজের নির্দেশ দিয়েছেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখায় রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক তিনি এ নির্দেশনা দেন।
স্ট্যান্ড রিলিজ হওয়া ৩ জন হলেন-জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার চেইনম্যান আহমদ করিম, নজরুল ইসলাম ও মো. হানিফ।
জানা গেছে, দুপুর পৌনে ১২টায় ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন এবং বিভিন্ন মামলার ফাইল সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।
ভূমি প্রতিমন্ত্রীকে দেখেই মনছুর আলী নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, ‘স্যার আমি কয়েকটি কথা বলতে চাই’। উত্তরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী বলে উঠলেন ‘আমি আপনাদের সাথেই কথা বলতে ও শুনানি করতে এসেছি। কোনো হয়রানির শিকার হচ্ছেন না তো?’ উত্তরে মনছুর আলী বলেন, ‘আমি গত এক বছর ধরে এখানে একটি ফাইল নিয়ে ঘুরছি। এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে ফাইল নিতে টাকা দিতে হয়। টাকা ছাড়া কোনো ফাইল নড়ে না। ইতোমধ্যে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু এখনও কাজ হয়নি।’
মনছুর আলী আরো বলেন, ‘প্রথমে আইয়ুব নামের এক কর্মচারীর কাছে ফাইল ছিল। তাকে টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করে বর্তমানে সৈকত চাকমা ও মোবারক নামের দুই কর্মচারীর কাছে আমার ফাইলটি আছে।’ এ সময় পাশে থাকা সাইফুর নামের আরেক ভুক্তভোগী ভূমি প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন ‘আমি মিস মামলার জন্য এ অফিসের কর্মচারী করিম ও নজরুলকে অনেক টাকা দিয়েছি। কিন্তু তবুও তারা আমার ফাইলটি আটকিয়ে রেখেছে। যতবার আসি ততবার টাকা দিতে হয় তাদের। গত ৭ মাস থেকে এ ফাইল নিয়ে ঘুরছি। কোনো সুরাহা পাচ্ছি না’। তখন ভূমি প্রতিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খোঁজখবর করে দীর্ঘদিন ফাইল আটকে থাকার সত্যতা পান এবং সাথে সাথে তিন কর্মচারীকে স্ট্যান্ড রিলিজের নির্দেশ দেন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭)