দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পাকিস্তানিদের অপপ্রচার ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্য একই সুরে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক-২০১৭ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেজা জিয়া বলেছিল, ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নাকি ঠিক নাই। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে? এর থেকে জঘন্য কথা আর কিছু হতে পারে না। খালেদা জিয়া পাকিস্তানিদের সুরে কথা বলার চেষ্টা করছেন। এটি শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা ছাড়া আর কিছু না।’

তিনি বলেন, ‘যেসব গুণী ব্যক্তিত্ব এখনো আড়ালে আছেন, তাদেরকে খুঁজে বের করে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা হবে। দেশ-জাতির জন্য তাদের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে আমরা কৃতার্থ হব।’

অনুষ্ঠানে ভাষা-শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবময় অবদান ও কীর্তির স্বীকৃতিস্বরূপ ১৭ গুণী ব্যক্তির হাতে একুশে পদক ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। অনুষ্ঠানে শিল্প-সাহিত্যসহ সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর একুশে প্রদকপ্রাপ্তরা হলেন-ভাষা আন্দোলনে ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ড. শরিফা খাতুন, ভাষা ও সাহিত্যে সুকুমার বড়ুয়া ও কবি ওমর আলী (মরণোত্তর)।

শিল্পকলায় (সংগীত) সুষমা দাস, জুলহাস উদ্দিন আহমেদ, ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম ও রহমতউল্লাহ আল মাহমুদ সেলিম।

শিল্পকলায় (চলচ্চিত্র) তানভীর মোকাম্মেল, শিল্পকলায় (ভাস্কর্য) সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, শিল্পকলায় (নাটক) সারা যাকের, শিল্পকলায় (নৃত্য) শামীম আরা নীপা।

সাংবাদিকতায় আবুল মোমেন ও স্বদেশ রায়, গবেষণায় সৈয়দ আকরম হোসেন, শিক্ষায় প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, সমাজসেবায় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/এস/এম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭)