সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ৬ জনের মধ্যে ৪ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এর মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র স্থায়ীভাবে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মনোনয়নপত্র সংক্রান্ত আপিল নিস্পত্তি সভায় ৪ জনের বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয়ার আদেশ দেন। উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাসীন আলী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও যুক্তিতর্ক শেষে তিনি এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে দু’জনের মনোনয়নপত্র স্থায়ীভাবে অবৈধ ঘোষণা করেন।

সভায় জেলা নির্বাচন অফিসার আবুল হোসেনসহ মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন ও কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মোফাখখারুল ইসলাম নিলু। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়নব পারভীন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

তবে বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদী এবং আব্দুল খালেকের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা বহাল রয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসার আবুল হোসেন বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। দু’জন ব্যর্থ হওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৭ ফেব্রুয়ারি কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে ঋণ খেলাপি ও সনদ দাখিল না করায় ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল।

এছাড়া কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মোজাহার হোসেন কান্টু, বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তার ও জামায়াত নেতা আজিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল হামিদ সরদার, জামায়াত নেতা আব্দুর রউফ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ রিয়াজউদ্দিন, লতিফুর রহমান খান ও বিএনপি নেতা শরিফুল আজাদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের জেবুন্নাহার, আওয়ামী লীগের শাহিদা সুলতানা, বিএনপির ডলি ইসলাম ও আওয়ামী লীগের রোজিনা পারভীনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমআরইউ/জেএম/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৪)