লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কলেজ অধ্যক্ষের চড়ে ইনতিশা জাহান অজি (৫) নামে এক শিশু অচেতন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৮টার দিকে হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজের শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

শিশু ইনতিশা জাহান অজি হাজিরহাট সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক (শিশু) শ্রেণির ছাত্রী ও স্থানীয় সংবাদকর্মী সিরাজুল ইসলাম শামিমের মেয়ে।

ওই অধ্যক্ষের নাম আবদুল মোতালেব। তিনি হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কলেজের পাশেই একটি ভাড়া বাসায় শিশু অজিসহ তার পরিবার থাকে। রাতে মায়ের সাথে কলেজের মাঠে যায়। এ সময় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কলেজ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দেশাত্মবোধক গান চলছিল। গানের সাথে ওজিসহ কয়েক শিশু নাচছিল। এরই মধ্যে অধ্যক্ষকে দেখে অন্য শিশুরা পালিয়ে গেলেও শিশু অজি শহীদ মিনারের সীমানার ভেতর দাঁড়িয়ে থাকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজ অধ্যক্ষ শিশুটিকে জোরে চড় মারেন। দায়িত্বশীল ব্যক্তির শিশুর প্রতি এমন আচরণে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

শিশুর বাবা সিরাজুল ইসলাম শামিম দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব ৫ বছরের শিশু মেয়েকে অন্যায়ভাবে মুখে চড় মেরেছেন। এতে কিছু সময় তার মেয়ে অচেতন ছিল। তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলে চড়ের পর থেকে মেয়ে জ্বরে ভুগছে। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান শিশুর বাবা।

অভিযুক্ত হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শহীদ মিনার ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। ওই শিশু শহীদ মিনারে এসে দৌঁড়ঝাপ করে। এ কারণে আস্তে করে তাকে একটি চড় দিয়েছি। ওই শিশু সাংবাদিকের মেয়ে আমি তা জানতাম না। এসব বিষয়ে জানতে চাওয়ার এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ সাংবাদিকের ওপরও চড়াও হন।

কমলনগর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. জাহাঙ্গীর দ্য রিপোর্টকে জানান, শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা থানা যাওয়ার পথে দেখা হয়। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থানার বাইরে আছে জেনে শিশুটির বাবা ফিরে যান।

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/এম/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭)