‘রাসা’ দেশের ভাস্কর্য শিল্পের এক পরিচিত নাম। তার নানা সৃষ্টির মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথেই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ‘৭১-এর গণহত্যা’  শীর্ষক ভাস্কর্যটি ব্যাপকভাবে পরিচিত। এ ছাড়াও বিষয়ভিত্তিক লেখালেখির সঙ্গেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন প্রতিনিয়ত। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় মেলার নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে বলেছেন দ্য রিপোর্টের প্রতিবেদক মুহম্মদ আকবর

গ্রন্থমেলা আপনাকে কীভাবে প্রেরণা দেয়।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা নিছক বইমেলা নয়। এ মেলা আমাদের সাহসের, অর্জনের ও সংস্কৃতি অনুসন্ধানের। মাথা নত না করার চেতনা দেয় এ মেলা। আজকের প্রজন্ম যে সাহসের মাধ্যমে মননশীল কাজের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করছে এ সব তো একুশে বইমেলারই উৎসজাত।

মেলার প্রকাশনা নিয়ে আপনার বক্তব্য জানতে চাই

বিভিন্ন ধরনের বই মেলায় এলেও কিশোরদের চিন্তার বিকাশের স্বার্থে কোন বই আসছে না, যা অত্যন্ত জরুরি। কেবল শিশুতোষ সাহিত্য নামে যা হচ্ছে, কিশোরদের জন্য তা যথেষ্ট নয়। স্বপ্ন ও বাস্তবতার সংমিশ্রণ ঘটাবার জন্যকিশোর উপযোগী বইয়ের খুবই প্রয়োজন।

আশানুরোপ অনুবাদ গ্রন্থ মেলায় আসছে না এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী।

আমাদের দেশে অনুবাদের সংকট তো অনেক আগে থেকেই। এ থেকে উত্তরণেরও তেমন চেষ্টা দেখছি না। অনুবাদ সাহিত্য আরও গতিশীল হওয়া উচিত। তবে অতীতে যা হয়েছে তা কেবল আক্ষরিক অর্থে। আক্ষরিক অনুবাদ এবং ভাবগত অনুবাদের একটা সমন্বয় থাকলে অনুবাদের ভিত শক্ত হয়। একজন অনুবাদকের এটা মাথায় রেখে কাজ করা জরুরি। আর অনুবাদ সাহিত্যে প্রকাশকরা একটা ভালো উদ্যোগ নিতে পারে বলে আমি মনে করি।

মেলার ব্যবস্থপনা নিয়ে আপনার কী কোনো অভিযোগ আছে?

না। তবে বড় কাজ করতে গেলে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকবেই। এটাকে আমলে নিয়ে প্রতিনিয়ত তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা থাকতে হবে।

ভাস্কর্য বিষয়ক কোনো গ্রন্থ কী আপনার চোখে পড়েছে?

একেবারেই না। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটা গ্রন্থ প্রকাশের চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু প্রকাশকরা তাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন নি। ফলে এ চেষ্টাটা সফল হয়নি। এইসব গ্রন্থ প্রকাশ না হওয়ায় এখানকার পাঠকরা বিদেশি বই চড়ামূল্যে কিনে তাদের চাহিদা পূরণ করছে। এ সব প্রকাশনা বৃদ্ধি পেলে পাঠকদের দোরগোড়ায় চলে আসতো এবং সহজলভ্য হতো। আশা রাখছি আগামীতে এটি হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এইচএসএম/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৪)