দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

 

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কমিটির বৈঠক শেষে আমু সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ আমাদের বার্নিং ইস্যু ছিল, সেটা এখন আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারপরেও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা অনির্ধারিতভাবে দীর্ঘদিন অ্যাবসেন্ট (অনুপস্থিত) সেটা এখনও তদন্তাধীন, সেদিকে নজরদারি রাখা হচ্ছে।’

কমিটির সভাপতি বলেন, ‘অন্যান্য যে সমস্ত বিষয় তাদের (আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) নলেজে বা যে সমস্ত ধারণা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো বিষয়েও তারা নজরদারি রাখছে, যাতে ভবিষ্যতে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হতে না পারে। সে বিষয়ে তারা বিশেষ সজাগ ও সচেষ্ট রয়েছে।’

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের অন্যান্য মাসের চেয়ে এ কয় মাসে অনেক উন্নতি লাভ করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পাশাপাশি ৬ হাজার ৮০৬টি মামলার মাধ্যমে ৮ হাজার ৫৬১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের বিচার কাজ চলছে, তারা জেলখানায় আছে।’

‘প্রত্যেকটি সংস্থার মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল সেগুলো অব্যাহত রাখা এবং আরও জোরদার করা যাতে এটা পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেজন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’

সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে চাঁদাবাজ, পেশাদার সন্ত্রাসী ও দস্যুদের বিশেষ নজরদারিতে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয় বলেও জানান আমু।

‘সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা ও কারণ নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি এগুলো সব নিয়ন্ত্রণে আসবে’ বলেন শিল্পমন্ত্রী।

মাদক প্রতিরোধে গণমাধ্যমের সহায়তা কামনা করে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘যখন যে এলাকায় মাদকের শক্ত লোক ধরা পড়ে তার ছবিটা ভাল করে প্রকাশ করে প্রচারণা করুন, যাতে তারা একটা ধিকৃত অবস্থায় পরিণত হয়। ধিকৃত অবস্থায় আসলে ভবিষ্যতে অনেকে চিন্তান্বিত হবে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যারা এগুলো করে ধরা পড়লে তাদেরটা বেশি প্রকাশ করা হলে ছাত্র সমাজে একটা এফেক্ট হবে। ফলে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।’

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এমকে/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭)