নীলফামারী প্রতিনিধি : শাহিনুর রহমান বয়স ছত্রিশের মত, বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ভাবনচুর এলাকায়। তিস্তার চরে অনাবাদি বালুতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে তরমুজ ও শসার আবাদ যোগ্য ক্ষেত গড়ে তুলেছেন তিনি।

জীবিকা নির্বাহের তাগিদে শুধু শাহিনুর রহমানই নন আমিনুরের ছেলে জাহিদুল (৩০), রেজাউলের ছেলে মোতাকছের আলী (২৮) আজিজুল ইসলামের ছেলে আমিনুর রহমানও (৩২) চরাঞ্চলে তরমুজ ও শসা চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করার সফলতার গল্প লিখেছেন।

গ্রীষ্মকালীন ফল এর মধ্যে শসা এক প্রকার সবজিও বলা চলে। দ্রব্যগুণ অনুসারে শসা মেদ কমাতে দারুণ ফলদায়ক আর তরমুজ দেহের সজীবতা ও পুষ্টিজনক ফল হিসেবে স্বীকৃত। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে চারিদিকে সবুজের সমারোহ। বালু মাটিতে সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী বানভাসি মানুষরা।

কৃষক শাহিনুর রহমান জানান, আমি ১৫ বিঘা বালু চরে তরমুজ ও শসার আবাদ করেছি। ফলন ভালই হয়েছে, এগুলো বাজারে বিক্রি করলে মোটামুটি দাম পাওয়া যাবে।

জলঢাকা উপজেলা কৃষি অফিসার শাহ মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, শুধু ধান, গম চাষ করলে হবে না, পাশাপাশি পুষ্টিজনক সবজি চাষ করতে হবে। সেই সাথে চরাঞ্চলের মানুষ বালি মাটিতে আবাদ যোগ্য করে তরমুজ ও শসা চাষ করে কৃষির বিপ্লব ঘটিয়েছে। এমন একটা সময় ছিল এখানকার মানুষ তিন বেলা খেতে পারতো না। নদীভাঙা মানুষের আহাজারিতে সেখানকার বাতাসও ভারী হয়ে উঠেছিল। এখন আর সেই দিন নেই, তিস্তার চরে আবাদে ভরে গেছে।

সাংবাদিক মানিকলাল দত্ত বলেন, চরাঞ্চলের মাটি ও বালু আবাদযোগ্য হওয়ায় চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ নিত্যদিন ক্ষেতে খামারে কাজ করে অভাবকে পাশ কাটিয়ে উন্নতির সাফল্যে পৌঁছেছে।

(দ্য ‍রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭)