নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মোক্তার হোসেন ওরফে কিলার মোক্তার ও তার সহযোগী মানিক নিহত হওয়ার পর ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় নিহত দুইজনসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় ডিবির এসআই মাজহারুল ইসলাম বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে একটি ও সরকারি কাজে বাঁধা, আক্রমণ ও অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ এবং খুনের অভিযোগ এনে অপর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের ৫ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। এর মধ্যে দুইজন পুলিশ অফিসারের পিস্তল থেকে ২০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়।

মামলা গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, নিহত ২ জনের ময়নাতদন্ত শেষে তাদের পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের মৃতদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মোক্তারের অপর সহযোগীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, নিহত কিলার মোক্তারের বিরুদ্ধে ৬টি ও তার সহযোগী মানিকের বিরুদ্ধে ২টি মামলা ছিল।

বুধবার রাত ৭টায় ফতুল্লার পাগলা নূরবাগ এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে কিলার মোক্তার (৪২) ও তার সহযোগী মানিক ওরফে কিলার মানিক (৪০) নিহত হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার, ৭ রাউন্ড গুলি, একটি চাপাতি ও ছোরা উদ্ধার করা হয়।

মোক্তার ফতুল্লার শাহীবাজার এলাকার মনির মিস্ত্রির ছেলে এবং মানিক নয়ামাটি মুসলিমপাড়া এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে। তারা তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বলে দাবি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

(দ্য ‍রিপোর্ট/এমএইচএ/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭)