শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের বগাদী গ্রামে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গনধর্ষণ করেছে ৪ বখাটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষিতাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায়  মামলার প্রস্ততি চলছে।

পালং মডেল থানা সূত্র ও ধর্ষিতার মা জানান, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের বগাদী গ্রামের চন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীটি প্রতিদিনের মতো খাওয়া ও পড়াশুনা শেষে রাত অনুমানিক সাড়ে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ৯টার দিকে তার চাচা নুরুজ্জামানের মাদবরের ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত অনুমানিক সাড়ে ১২টায় একই গ্রামের মুনসুর বেপারীর ছেলে শহীদুল ইসলাম বেপারী ও তার সহযোগী ইয়াছিন খা, পাভেজ মুন্সি, ইকবাল হোসেন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে নুরুজ্জামান মাদবরেরর ঘরের বেড়ার ভেল্কির উপর দিয়ে হাত দিয়ে দরজা খুলে ঘরের ভিতর ঢুকে ছাত্রির মুখ চেপে ধরে ঘর থেকে জোরপূর্বক বের করে নিয়ে বাড়ির উঠানে ফেলে উপুর্যপরি গনধর্ষণ করে। ছাত্রির চিৎকারে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে এগিয়ে আসলে বখাটেরা বাড়ির পার্শ্বে কলই ক্ষেতে ধর্ষিতাকে ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ সময় পালং মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে এনে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শহীদুল ইসলাম বেপারীকে পুলিশ আটক করেছে। এ বিষয়ে পালং মডেল থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

ধর্ষিতার বাবা বলেন, আমার মেয়ে শুক্রবার রাতে পড়াশুনা ও খাওয়া দাওয়া শেষে আমার ছোট ভাইয়ের ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে ৪ জনের একদল বখাটে পূর্বপরিকল্পত ভাবে ঘর থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গনধর্ষণ করেছে। মেয়ের চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে গেলে বখাটেরা তাকে কলই ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়। আমি এর বিচার চাই।

পালং মডেল থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান বলেন, ৪ বখাটে এক স্কুল ছাত্রিকে ঘর থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গনধর্ষণ করেছে। ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় এক ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭)