দিনাজপুর প্রতিনিধি : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, ‘পুলিশ-জনতা একসাথে কাজ না করলে মাদক ও জঙ্গিবাদের মত বড় সমস্যা দূর করা যাবে না। সমাজে মানুষের শান্তির জন্য নাগরিক এবং পুলিশের পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে কমিউনিটি পুলিশিং।’

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিনাজপুর বড়মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জনগণকে পুলিশের ওপর ভরসা রাখতে হবে। পুলিশকেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। পুলিশ তার যথাযথ ভূমিকা পালন করলে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।

তিনি আরও বলেন, যারা ইসলামের কথা বলে রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, যারা ২০১৩ সালে আন্দোলনের নামে ১৬ জন পুলিশকে হত্যা করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আইজিপি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মিশে, কি করে, এসব বিষয়ে খবর রাখতে হবে। সমাজকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তাহলে সন্ত্রাসমুক্ত একটি সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

দিনাজপুর পুলিশ মো. হামিদুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, কমিউনিটি পুলিশিং জেলা সমন্বয় কমিটির আহবায়ক বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক ডা. মো. শহিদুল ইসলাম খান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য সচিব গোলাম নবী দুলাল, দিনাজপুর শহর কমিটির সভাপতি ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সদর উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, খানসামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুজ্জামান শাহ, দিনাজপুরের পিকনিক স্পট স্বপ্নপুরীর স্বত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব মো. দেলোয়ার হোসেন, বিরল উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, ফুলবাড়ী উপজেলা সভাপতি মাসুদুর রহমান, বোচাগঞ্জ সভাপতি আব্দুল মমিনসহ ১৩ উপজেলা ও জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবর্গ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার ১০২টি ইউনিয়ন ও ৯টি পৌরসভার কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ২৫ হাজার সদস্য মিলে সমাবেশে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে প্রধান অতিথি আইজিপি মো. শহিদুল হক মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ২শ’ জন লোকের হাতে ভ্যান ও সেলাই মেশিন প্রদান করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭)