দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আপনি কি চাকুরিজীবী? প্রচুর পরিশ্রম করেন নিশ্চয়ই নিজের উন্নতির জন্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও বছর শেষে, মনের মত ‘ইনক্রিমেন্ট’ হচ্ছে না। কিছুতেই যেন কর্মক্ষেত্রে এগোতে পারছেন না।

নজর রাখুন এই দশটি ‘পয়েন্ট’-এ। সমাধান পেলেএ পেতে পারেন—

ইমেল

বর্তমানে অফিসের কাজ অর্ধেক হয় ইমেল-এর মাধ্যমে। এবং সেটা যদি ঠিকমত লিখতে না পারেন, তাহলে খুবই মুশকিলে পড়তে হয়।
- অযথা শব্দের খেলা না দেখিয়ে একেবারে ‘টু দ্য পয়েন্ট’ লেখাটাই শ্রেয়।
- কোনওরকম ‘স্মাইলি’-র ব্যবহার একেবারেই নয়।
- ‘সেন্ড’ করার আগে অন্তত একবার অবশ্যই চোখ বোলান লেখার উপরে।

টিম-ম্যান

কাজের জায়গায় প্রতিযোগিতা থাকবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই। কিন্তু তা যেন আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে না দেয়। নিজেকে জাহির করতে গিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কখনই করা উচিৎ নয়। টিম-ম্যান হিসেবে কাজ করলেও আপনার উন্নতি আটকানো সম্ভব নয়।

মোবাইল

আপনার মোবাইলটি কি প্রায়শই বেজে ওঠে? হয়তো কাজের ফোন বা ম্যাসেজই আসছে, কিন্তু তা অন্যদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফোনটি চোখের সামনেই রাখুন। না হলে ‘ভাইব্রেশন’ মোডে রাখুন, কিন্তু মোবাইলটি রাখুন পকেটে।

সব করে দেব

‘কোনও চিন্তা করবেন না বস্, সব হয়ে যাবে’... একটু ভেবে বলুন। সত্যিই সব করা কি সম্ভব আপনার পক্ষে? সামর্থ অনুযায়ী ‘কমিটমেন্ট’ করুন, না হলে...

ড্রেস কোড

অনেক অফিসেই কোনও পোশাক বিধি থাকে না। তা বলে যা খুশি তাই পরে কর্মস্থলে উদয় হবেন না যেন।

ডেডলাইন

যখন আপনাকে কোনও ডেডলাইন দেওয়া হয়, তখনই স্পষ্ট করে বলুন সেই তারিখের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারবেন কি না। পরে সেই সময় বাড়ানোর অনুরোধ করাটা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়।

ডু নটডিস্টার্ব

নিজের কাজ না থাকলে, অন্যদের একেবারেই বিরক্ত করবেন না।

সোশ্যাল মিডিয়া

কাজের ফাঁকে কি ফেসবুক বা টুইটার আপনাকে ডাকে? চেষ্টা করুন তা অগ্রাহ্য করতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মন দিলে কাজের ক্ষতি তো হবেই।

গসিপ থেকে বিরত

কর্মক্ষেত্রে শুধুই কাজের কথা নিয়ে থাকুন। তা বাদে অন্য টপিক নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভাল। এবং অবশ্যই দূরে থাকুন সহকর্মীদের নিয়ে গসিপ করা থেকে।

‘না’ বলতে শিখুন

বস হোক বা সহকর্মী, সকলের সব কথায় ‘হ্যাঁ’ বলা বন্ধ করুন। নিজের স্বার্থেই ‘না’ বলা কখনও কখনও খুব জরুরি হয়ে পড়ে।

(দ্য রিপোর্ট/এফএস/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭)