খুলনা ব্যুরো : খুলনা বিভাগের দশ জেলায় ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন চলছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মিশুক–মুনীর দুর্ঘটনা মামলায় মানিকগঞ্জের একটি আদালত চুয়াডাঙ্গার বাসচালক জামিরুলকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এই ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)  ধর্মঘটের  দ্বিতীয় দিনে নগরীতে চলাচলকারী ইজিবাইক, সিএনজি, মহেন্দ্র এ ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীতে মাইকিং করে এই ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশেনের আঞ্চলিক কমিটি।

সোমবার খুলনা থেকে সড়কপথে ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ ১৮টি রুটের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। নগরীর মধ্যে ইজিবাইক ও সিএনজি বন্ধ করে দেওয়ায় সকালে অফিসগামী যাত্রীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। শুধুমাত্র ব্যক্তিমালিকানাধীন গাড়ি চলাচল করছে রাস্তায়।

খুলনা বিভাগে পাইপলাইনের গ্যাস সরবরাহ না থাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের ওপর নির্ভর বেশির ভাগ মানুষ। আর এ সড়কে পরিবহন চলাচল না থাকায় গ্যাস সিলিন্ডার সংকট দেখা দিয়েছে। রবিবার রাত থেকেই গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

পরিবহন শ্রমিক নেতা আবদুর রহিম বক্স দুদু জানান, তারা মিশুক–মুনীর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত দাবি করেছেন। দাবি মানা না হলে খুব দ্রুতই দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭)