দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নতুন গ্রহকদের পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগে আর্থিংয়ের রড (গ্রাউন্ডিং রড) ব্যবহারে গুণগত মান নিশ্চিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এই আদেশ দেন।

একইসঙ্গে আর্থিংয়ের রড ব্যবহারে গুণগত মান নিশ্চিতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মিজান মিয়া নামের একজন ইলেকট্রিশিয়ানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই আদেশ দিয়েছেন আদালত। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশেদুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

আইনজীবী রাশেদুল হক জানিয়েছেন, গত ৫ মে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ‘নিম্ন মানের গ্রাউন্ডিং রড, ঝুঁকিতে জীবন ও বিতরণ ব্যবস্থা’ শিরনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে রিট আবেদনটি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুতের নতুন সংযোগে নকল আর্থিং রডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে। বিদ্যুতের মাটির নিচের ব্যবহৃত এ সব আর্থিং রড নিয়ে ভয়াবহ জালিয়াতি চলছে। সংঘবদ্ধচক্র পুরনো ঢাকার ধোলাইখাল, ধূপখোলা, যাত্রাবাড়ী ও লালবাগসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ কারখানায় গোপনে এ সব নকল রড তৈরি করে বিক্রি করছে। নিন্মমানের রং করা এ সব রড পল্লী বিদ্যুতের সংযোগের বিভিন্ন কাজে লাগানো হচ্ছে। যা ব্যবহার বিপদজনক ও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নকল রডসহ অন্যান্য নকল সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তালিকাভুক্ত আর্থিং রড ব্যবসায়ীরা নকলবাজদের দাপটে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। অনেকেই দিনের পর দিন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর নকলের কারণে গ্রাহকের টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান ও লাইটসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বার বার নষ্ট হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭)