দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ডেমোক্রেটিক ইয়থ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (ডিওয়াইএফআই) এর সম্পাদক মি. অভয় মুখার্জি বলেছেন, ‘কথা বলার অধিকার স্তব্ধ করে ভারতকে পুরোনো কায়দায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গোলাম আলীসহ বিখ্যাত গায়ক ও প্রগতিশীল লেখকদের শিল্প চর্চায় বাঁধা দিচ্ছে মোদি সরকারের লোকেরা।’

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ‘রাইজ ভয়েজ ফর ইমপ্লয়মেন্ট, সেক্যুলারিজম, ডেমোক্রাসি পিস এন্ড সোসাল প্রোগ্রেসেস’ শীর্ষক সেমিনারে অন্যতম অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। বাংলাদেশ যুব মৈত্রী এ সেমিনার আয়োজন করেছে।

মি.অভয় মুখার্জি বলেছেন, ‘মোদি সরকারের অংশীদার আরএসএস তলে তলে সাম্প্রদায়িক কাজ বাড়িয়ে তুলছে। তাই এই সময়ে (মোদি সরকারের আমলে) ভারতে ৮৩৫টি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠিত হয়েছে। তারা সব জায়গা জুড়ে হিন্দু রাষ্ট্র গঠনেরও চেষ্টা চালাচ্ছে।’

মি.অভয় মুখার্জি আরো বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা, নিউ ইকোনোমিক পলিসি ও বেকারত্ব এখন ভারতের অন্যতম সমস্যা। শুধু ভারতই নয়, নিউ ইকোনোমিক পলিসি সারা দুনিয়ার কোথাও সুরাহা দিতে পারেনি। নিউ ইকোনোমিক পলিসি ও সাম্প্রদায়িকতা গোটা দুনিয়াকে ধ্বংস করতে চাইছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘রাশিয়া ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া সংগঠিত হচ্ছে। এ বছর মহান অক্টোবর শতবার্ষিকীর পাশাপাশি কার্ল মার্ক্সের জন্মের ২০০ বছর পূর্তি হচ্ছে। মার্কস বাদের প্রয়োগের জায়গায় খোলামেলা বড় মন নিয়ে দুনিয়ার তাবদ প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে।’

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন-ডেমোক্রেটিক ইয়থ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (ডিওয়াইএফআই) এর সহকারী সম্পাদক মি. জমির মোল্যা, ভারতের রেভোলুশনারি ইয়থ এসোসিয়েশন (আরওয়াইএ) এর ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট মিসেস নভকিরাম, তুরস্কের প্যাটরিয়টিক পার্টি ভ্যানগার্ড ইয়থ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মিসেসে লিফ লাহামোগলু ও জেনারেল এডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ড মেম্বর মি. ইরমান, নেপালের ইয়থ ফেডারেশন অফ নেপাল (ওয়াইএফএন) এর উপদেষ্টা টোপ বাহাদুর বিসি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মারুফা আক্তার পপি, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আদনান রিয়াদ, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি সাব্বাহ আলী।

ডিওয়াইএফআই এর সহকারী সম্পাদক মি. জমির মোল্যা বলেছেন, ‘ভারত জুড়ে অস্বাভাবিক বেকারত্ব, নয়া উদার অর্থনীতি ও ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি চলছে। এখানকার মানুষের ঘরে কি আছে, তারা কি খাবে এবং কি পরবে তা ঠিক করে দেবে সাম্প্রদায়িক শক্তি। মোদি আর দিদি (মমতা ব্যানার্জি) এই নীতিতেই দেশ ও রাজ্য চালাচ্ছে। তারা উপরে সব নাটক করে। কিন্তু ভিতরে সব এক। এদের সঙ্গে সরাসরি বাংলাদেশের জামায়াতের যোগাযোগ রয়েছে। এ এক মহাবিপদ। মিছিল মিটিং করার অধিকার নেই পশ্চিম বাংলায়।’

জমির মোল্যা আরও বলেছেন, ‘আমি মুর্শিদাবাদের মানুষ। বাংলাদেশের ভাষা সৈনিক আবুল বরকত মুর্শিদাবদেই জন্মেছিলেন। আমরা বিচ্ছিন্ন নেই। বাংলাদেশের রাজিবদের (ব্লগার) মতো ভারতেও প্রগতিশীল লেখকদের খুন করা হচ্ছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭)