‘নিহত শ্রমিকের হৃৎপিণ্ডে গুলি লেগেছিল’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পরিবহন ধর্মঘট চলাকালে বুধবার (১ মার্চ) রাজধানীর গাবতলীতে পরিবহন শ্রমিক ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত বাসচালক বন্দুকের গুলিতেই মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।
ময়নাতদন্ত শেষে ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, বন্দুকের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ফুসফুস এবং হৃৎপিণ্ডে গুলির আঘাত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার বুকে ও পেটে শটগানের অজস্র গুলির চিহ্ন আছে।
বুধবার (১ মার্চ) সকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন ওই পরিবহন শ্রমিক। প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তবে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ওই শ্রমিকের নাম শাহ আলম (৩৮) বলে জানানো হয়েছিল।
তবে নিহতের সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের নাম শাহিনুর (৩৭) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার বাবার নাম মো. ছায়ের উদ্দিন। তার বাড়ি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিঘাটা গ্রামে।
নিহত শ্রমিকের সুরতহাল সম্পন্ন করেন দারুসসালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহেশ চন্দ্র সিংহ।
এসআই মহেশ জানান, স্বজনরা না আসায় নিহতের মরদেহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরএস/এমকে/এনআই/মার্চ ০২, ২০১৭)