যশোরে রানার সম্পাদক হত্যা মামলার আসামি সাইফুল খুন
যশোর অফিস : দৈনিক রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল, উদীচী হত্যাকাণ্ড, লাউজানি ফোর মার্ডার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সাইফুল ইসলামের (৪৮) গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে যশোরের শঙ্করপুর-মুড়লি রেলক্রসিংয়ের পাশের একটি ঘের থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রেলক্রসিংয়ের ধারে কর্তব্যরত আনসার সদস্য (পিসি) মনিরুল ইসলাম জানান, সকালে টহল দেওয়ার সময় তারা দেখতে পান, মুড়লি রেলক্রসিংয়ের পাশে জনৈক শাহ আলমের চিংড়ি ঘেরের মধ্যে বস্তাবন্দি একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। পাশে তার স্যান্ডেল পানিতে ভাসছিল। রাস্তার অন্য পাশের খাদে পানির মধ্যে ছিল একটি বাইসাইকেল। এ ঘটনা দেখে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জহুরুল হক জানান, গলাকাটা মৃতদেহটি সাইফুল ইসলামের। তিনি শহরের শঙ্করপুরে বেশ কয়েক বছর ধরে ভাড়াবাসায় থাকতেন। পরে তিনি শহরতলির শ্রীকণ্ঠনগর রিফিউজিপাড়ায় বসবাস করতে থাকেন। সাইফুল ইসলাম সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর গ্রামের মৃত জেহের মোড়লের ছেলে বলে জানান তিনি।
কোতোয়ালি থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, নিহত সাইফুল দৈনিক রানার সম্পাদক আরএম সাইফুল আলম মুকুল হত্যা, উদীচী হত্যাকাণ্ড, লাউজানি ফোর মার্ডার, সতীঘাটার বাবলু হত্যাসহ বেশ কিছু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার ব্যাপারে আরও খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য সাইফুলের মৃতদেহ যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সাইফুল এক সময় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী আহসান কবির হাসানের দেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ক্রসফায়ারে হাসানের মৃত্যুর পর সাইফুল মাদক ও মসলা চোরাচালানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন বলে জানায় পুলিশ।
নিহত সাইফুলের স্ত্রী মর্জিনা বেগম জানান, চোরাচালানসংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে তার স্বামীকে হত্যা করা হতে পারে।
(দ্য রিপোর্ট/একে/এসবি/শাহ/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)