দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : দেশের ১৪টি উপজেলা পরিষদ ও চারটি পৌরসভার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

এরমধ্যে তিনটি উপজেলা পরিষদে প্রথমবারের ভোটগ্রহণ এবং বাকিগুলোতে উপ-নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছেন।

যেসব এলাকায় ভোটগ্রহণ চলছে : সিলেটের ওসমানী নগর, খাগড়াছড়ির গুইমারা ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে; বরিশালের বানারীপাড়া, গৌরনদী, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, কুমিল্লার আদর্শ সদর, পাবনার সুজানগর, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চেয়ারম্যান পদে, নাটোরের বড়াইগ্রাম, নীলফামারীর জলঢাকা, সাতক্ষীরার কলারোয়া ও বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে পাবনার ঈশ্বরদীতে।

এছাড়া টাঙ্গাইলের সখীপুরের ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে, পটুয়াখালীর গলাচিপায় মেয়র পদে, রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে এবং শেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচনে ভোট হচ্ছে।

উল্লেখিত উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনগুলো দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেই সুবাদে দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কর্তৃক গঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে এটি দ্বিতীয়বারের মতো কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠান। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়ির পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল নতুন ইসির অধীনে প্রথম কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠান।

এদিকে ১৪টি উপজেলা পরিষদ ও ৪টি পৌরসভায় সোমবারের নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়, এ ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে ইসির পক্ষ থেকে।

এ প্রসঙ্গে রবিবার (৫ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বাঘাইছড়ি পৌর নির্বাচনের পর নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে দ্বিতীয়বার ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই। আমরা চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এজন্য কমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে কিংবা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কেউ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হলে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’

ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ কমিশনার স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। দায়িত্ব পালনে কেউ অনিয়ম বা গাফলতি করলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।

(দ্য রিপোর্ট/এমকে/এনআই/মার্চ ০৬, ২০১৭)