দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আশানুরুপ মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় আবারও রিজার্ভ থেকে লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এবার রিজার্ভ থেকে ৬০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ। 

১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের ডিএসই ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মুনাফা করেছে ১১৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ০.৬৬ টাকা। তবে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ এই মুনাফার বিপরীতে ১০ শতাংশ হিসাবে ১৮০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এ হিসাবে লভ্যাংশ প্রদানে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফার থেকে অতিরিক্ত ৬০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ০.৩৪ টাকা প্রয়োজন। যা রিজার্ভ থেকে দিতে হবে।

২০১৪-১৫ অর্থবছরেও ডিএসই রিজার্ভ ভেঙে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই বছর প্রতিষ্ঠানটি মুনাফা করেছিল ১৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কিন্তু ১৮০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার লভ্যাংশ দিয়েছিল। এক্ষেত্রে মুনাফার অতিরিক্ত ৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা রিজার্ভ থেকে দিয়েছিল।

এদিকে আগের বছরের তুলনায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ডিএসইর মুনাফা কমে এসেছে। আগের বছরে প্রতিষ্ঠানটির ১৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বা ০.৭৫ টাকা ইপিএস হয়েছিল। যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে হয়েছে ১১৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বা ০.৬৬ টাকা। এ হিসাবে মুনাফা কমেছে ১৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা ইপিএস ০.০৯ টাকা। যা শতকরা হিসেবে ১১ শতাংশ।

ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান জানান, শেয়ার ব্যবসায় মন্দার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ব্রোকারেজ হাউজগুলো লোকসান গুণছে। এক্ষেত্রে লভ্যাংশ পেলে তা কিছুটা লাঘব হবে। আর ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন হওয়ার আগেতো লভ্যাংশ দিতে হয়নি। তখন মুনাফা রিজার্ভে যোগ হয়েছে। এখন ট্রেকহোল্ডারদের কথা ভেবে রিজার্ভ থেকে লভ্যাংশ দেওয়া যেতে পারে।

উল্লেখ্য ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ ট্রেকহোল্ডারদের অনুমোদনের আগামী ২৩ মার্চ বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/মার্চ ০৬, ২০১৭)