‘সাংগঠনিক দুর্বলতাতেই উপজেলা নির্বাচনে পরাজয়’
যশোর অফিস : উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিপুলসংখ্যক প্রার্থীর পরাজয়কে অপ্রত্যাশিত বলে বর্ণনা করে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে এমনটি হয়েছে। বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। মন্ত্রী শনিবার যশোর-খুলনা মহাসড়ক পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ভোট বৃদ্ধি এবং বেশিসংখ্যক প্রার্থীর জয়লাভ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় নির্বাচন স্থানীয় ইস্যুতে হয়। এখানে জাতীয় রাজনীতির কোনো প্রতিফলন ঘটে না। তবে সব উপজেলা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর কারণ খতিয়ে দেখা হবে।
যোগাযোগমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে যশোর আসেন। এরপর তিনি যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বাইপাস রোডে ভৈরব নদের ওপর বাবলতলা ব্রিজের নির্মাণকাজ দেখেন। সেখান থেকে তিনি যশোর-খুলনা মহাসড়ক পরিদর্শনে যান।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী যশোর-খুলনা মহাসড়কের একাংশের বেহাল দশা দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি দশবার এখানে এসেছি। কিন্তু তারপরও এ সড়কের কাজ শেষ হয়নি। এ জন্য ঠিকাদারের গাফিলতি ও অবহেলা রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউলিঙ্ক ইন্টারন্যাশনালকে কালো তালিকাভুক্ত করা হল। প্রতিষ্ঠানটির কার্যাদেশও আজই বাতিল করা হল। আগামীকালই ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার নতুন টেন্ডার আহ্বান করা হবে।’
তিনি উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘৬৬ কিলোমিটার মহাসড়কটির মাত্র তিন কিলোমিটার খারাপ। আগামী ৭০ দিনের মধ্যে এই মহাসড়কে কোনো গর্ত দেখতে চাই না।
বাবলাতলা ব্রিজ নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী যশোর-খুলনা মহাসড়কের দিকে যাওয়ার সময় শহরের মণিহার এলাকার রাস্তা ইজিবাইকের দখলে দেখতে পান। এ সময় তিনি দায়িত্বরত পুলিশকে বলেন, ‘সমস্ত রাস্তাই কি ইজিবাইক দখল করে রাখবে? প্লিজ স্টপ ইট।’
পরে তিনি যশোরের পুলিশ সুপারকে টেলিফোনে বলেন, ‘কী করেন আপনি? জনগণ বলছে, পুলিশ নসিমন, করিমন, ইজিবাইক চালকদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়। এই চাঁদা আদায় বন্ধ করুন।’ তিনি যশোর শহর এবং মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে নসিমন, করিমন, ইজিবাইক চলাচল বন্ধে এসপিকে নির্দেশ দেন।
সড়ক পরিদর্শনকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আঞ্চলিক ও মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ইজিবাইক দেখতে চাই না। এ সব গাড়ি যানজট এবং দুর্ঘটনার কারণ। যানজটের কারণে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। তবে আমরা চাই না, এ সব গাড়িচালকের পেটে লাথি মারতে। এ জন্য এ সব গাড়িকে ফিডার রোডে চলতে হবে।’
মহাসড়ক পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ আলী, যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফকির আবদুর রব, যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/একে/এএস/সা/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)