চট্টগ্রামে পণ্য আটকের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত ১২ কন্টেনার ভর্তি আমদানি নিষিদ্ধ ১৩৪ কোটি টাকার এলইডি টিভি, সিগারেট, মদ ও ফটোকপি মেশিন জব্দের ঘটনায় মঙ্গলবার (৭ মার্চ) ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর ঢাকার উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেনকে প্রধান করে কিমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুর রহমান ও চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তারেক মাহমুদ।
মঙ্গলবার শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খানের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি জানান, এ কমিটি ৪টি কারণ তদন্ত করে দেখবে। সেগুলো হল-১২ কন্টেনার আমদানিকারকের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন।ঘটনার সঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ এলসি ওপেনিং ব্যাংক, শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এর কোনো ব্যক্তি জড়িত কিনা তা পর্যালোচনা করে চিহ্নিত করা। আমদানিকারক কর্তৃক পূর্বে আমদানিকৃত পণ্য চালানে একই পণ্য আমদানি করা হয়েছে কিনা এবং ঐ চালানের সাথে কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিনা। অপরাধের সাথে মানিলন্ডারিং এর উপাদান রয়েছে কিনা এসব বের করা।
উল্লেখ্য, অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা ঘোষণায় ১২টি কন্টেনারে আমদানি নিষিদ্ধসহ ১৩৪ কোটি টাকার পণ্য আনে আমদানিকারক খোরশেদ আলম। ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ঘোষণায় চীন থেকে আনা চালান দুটি খালাসের দায়িত্বে ছিল সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান রাবেয়া এন্ড সন্স। চালান আটকের পর থেকে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক পলাতক রয়েছেন।
জালিয়াতির মাধ্যমে আনা ১২টি কন্টেনারে ১৬ হাজার ১৭০ বোতল মদ, ৩ কোটি ৮৪ লাখ শলাকা সিগারেট, ৪ হাজার ৭৪টি এলইডি টেলিভিশন ও ২৮১টি আমদানি নিষিদ্ধ ফটোকপি মেশিন পাওয়া যায়।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/মার্চ ০৭, ২০১৭)